ঝাঁ-চকচকে এই দ্বিতল সুলভ শৌচালয়ে শুধু মহিলাদের জন্যে পোশাক পরিবর্তন, স্নানের ব্যবস্থাও থাকছে। সম্প্রতি এই শৌচালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে প্রশাসনিক কিছু কাজের জন্যে তখনই সাধারণ মানুষ এই শৌচালয় ব্যবহারের সুযোগ পাননি। সূত্রের খবর, সোমবার থেকে সাধারণের ব্যবহারের জন্যে খুলে দেওয়া হবে এই মডেল শৌচালয়। এখানে শিশুদের জন্যে খেলার ঘর, বড়দের জন্যে কাফেটারিয়াও থাকছে।
স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে এই মডেল সুলভ শৌচালয়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। প্রতি দিনের কাজ তদারকি করবেন মহিলরা। মহিলাদের সুরক্ষায় এই সুলভ শৌচালয়ে আলাদা করে ‘উমেন জোন’ থাকছে। একজন মহিলা সাধারণ ভাবে রাস্তায় বেরিয়ে যে সব শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন, তা সমাধানের ব্যবস্থা থাকবে ‘উমেন জোন’-এ।
বিধায়ক অরূপ বিশ্বাসের তরফে এই মডেল সুলভ শৌচালয় তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ দাসকে। তাঁর কথায়, ‘আমাকে নির্মাণকাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি। কতটা পেরেছি, সেই বিচার করবেন জনগণ।’
বছর তিনেক আগে কলকাতার একটি শপিংমলে এক মহিলা তাঁর কোলের সন্তানকে স্তন্যপান করাতে গেলে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন পুরকর্তারাও। সেই সময়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের তরফে দাবি তোলা হয়েছিল, যে সব মহিলা শিশুসন্তানদের নিয়ে কাজে বের হন, তাঁদের জন্যে শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত জায়গায় পৃথক ‘ব্রেস্ট ফিডিং জোন’ চালু করা প্রয়োজন। এই দাবিকে মান্যতা দিয়ে পরবর্তী সময়ে পুরসভার তরফে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ‘ব্রেস্ট ফিডিং জোন’ চালুর কথা ঘোষণাও করা হয়েছিল। সম্প্রতি পুরসভার পরিবেশ বিভাগের তরফে জানানো হয়, বেশ কিছু সুলভ শৌচালয়কে সংস্কার করে সেখানে পৃথক ‘ব্রেস্ট ফিডিং জোন’ চালু করা হবে।