মহিলার দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছেও অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তবে অভিযুক্ত স্বপন দাস টাকা নেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাড়ি কেনা-বেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। ওই মহিলার কাছ থেকে গাড়ি কেন হয়েছিল। কিন্তু তার কাগজ পত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে কেস চলছে কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি ডায়মন্ডহারবার জেলে ছিলাম। তাহলে তখন টাকা নিলাম কী করে? সবটাই মিথ্যা কথা।’
অপরদিকে নুপুর হাজরা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশ টাকা নিয়েছে। এখন আর তা ফেরত দিচ্ছে না। বারংবার নানা অজুহাতে ঘোরাচ্ছে। আজ বলছে চাকরি দেব, তো কাল বলছে চাকরি দেবে। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে মারধর করছে। ওর স্ত্রী অপমান করছে। তাই তিনি যখন টাকা দেননি, তখন বলেছি মেরে পাওনা টাকা আদায় করব।’
জানা গিয়েছে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কয়লাঘাটা বুথে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন স্বপন দাস। কিন্তু ভোটে তিনি পরাজিত হন। তবে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত তৃণমূল নেতা স্বপন দাসের স্ত্রী অনিমা দাস ওই মহিলার বিরুদ্ধে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ নুপূর হাজরাকে গ্রেফতকার করে। আজ ওই মহিলাকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় আদতেই চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার কোনও বিষয় আছে কি না, সেই দিকটিও দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।