Hooghly News TMC : ‘তোমার কপালে জেল আছে…’. ঠিকাদারকে হাতেনাতে পাকড়াও, দাবাং মোডে TMC বিধায়ক – trinamool congress mla asit majumder slams contractor for taking money from chinsura people


বিনা পয়সায় গৃহস্থের বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই জল পৌঁছে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। পানীয় জলের লাইন দিতে বেআইনি ভাবে টাকা তুলেছিলেন ঠিকাদার। ইচ্ছেমতো কারও থেকে দু’হাজার বা কারও থেকে তিনহাজার টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিধায়কের কাছে অভিযোগ যায়। অভিযোগ পেয়েই ঠিকাদারকে নিয়ে গিয়ে বাসিন্দাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করালেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’-দের বিরুদ্ধে চড়া সুর ছিল বিধায়কের গলায়। যদিও এই নিয়ে সুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Corruption in Municipal Corporation: কেন্দ্রীয় জল প্রকল্পে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার বিরুদ্ধে মামলা বাসিন্দার
হুগলি জেলার চুঁচুড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জগুদাসপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে পাইপ লাইন বসাচ্ছে পুরসভা। একই হোল্ডিনং নম্বরে একাধিক শরিক থাকলেও তাঁরা এই জল পাবেন বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, জলের লাইন দেওয়ার নাম ঠিকাদার রসিদ ছাড়াই স্থানীয়দের থেকে টাকা নিচ্ছিলেন।

চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে খবর যায়। এরপরই শুক্রবার কাউন্সিলর মৌসুমী বসু, জল দফতরের সিআইসি দিব্যেন্দু অধিকারী ও অভিযুক্ত ঠিকাদার স্বর্ণাভ ঘোষকে নিয়ে জগুদাসপাড়ায় যান অসিত। মানুষের অভিযোগ শোনেন এবং যাঁদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল সব টাকা নদগে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। বিধায়কের এই ভূমিকায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। টাকা ফেরতের বন্দোবস্ত করার জন্য তাঁরা তৃণমূল বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই আগামিকাল পুরসভার সব কাউন্সিলর ও ঠিকাদারদের নিয়ে মিটিং ডেকেছেন বিধায়ক যদিও এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।

Hiran Chatterjee : ‘দেব-নুসরত-সায়নী আগে ভালো ছিল, তারপর…’, বিস্ফোরক মন্তব্য তারকা বিধায়কের
জগুদাসপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘ঠিকাদার বলল পাইপ বসাতে টাকা দিতে হবে। পাইপের যা মাপ বলল হিসাব করে দেখলাম আড়াই হাজার টাকা হয়েছে। এরপরই তাঁকে টাকা দিয়ে দিই। রসিদ ছাড়া টাকা নিয়ে গিয়েছে। টাকা ফেরত চেয়েছিলাম দেয়নি।বিধায়ক এসে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেছেন।’

Kolkata Municipal Corporation : শৌচাগার দুর্নীতিতে দায় ঠেলাঠেলি কলকাতা পুরসভায়
অসিত মজুমদার বলেন, ‘জলের লাইন বসানোর কাজ দেখার জন্য একজন নোডাল অফিসার রয়েছেন। কাউন্সিলর রয়েছেন সিআইসি রয়েছেন কেউ জানেনা টাকা নেওয়ার বিষয়ে। চেয়ারম্যান বা পুরসভাতেও কেউ অভিযোগ করেনি। আমি ঠিকাদারকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছি। গরিব মানুষের পেটে যাঁরা লাথি মারবে, আমি তাঁদের পেটে লাথি মারব।’ অন্যদিকে বিজেপি হুগলি জেলার সাধারন সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূলের শাসনে টাকা এভাবেও ওঠে। তাঁর ভাগ যায় নেতাদের কাছে। তবে ঠিকাদার হয়তো এবার না বলে টাকা তুলেছেন। তাই টাকা ফেরতের নাটক করা হল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *