হুগলি জেলার চুঁচুড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জগুদাসপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে পাইপ লাইন বসাচ্ছে পুরসভা। একই হোল্ডিনং নম্বরে একাধিক শরিক থাকলেও তাঁরা এই জল পাবেন বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, জলের লাইন দেওয়ার নাম ঠিকাদার রসিদ ছাড়াই স্থানীয়দের থেকে টাকা নিচ্ছিলেন।
চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে খবর যায়। এরপরই শুক্রবার কাউন্সিলর মৌসুমী বসু, জল দফতরের সিআইসি দিব্যেন্দু অধিকারী ও অভিযুক্ত ঠিকাদার স্বর্ণাভ ঘোষকে নিয়ে জগুদাসপাড়ায় যান অসিত। মানুষের অভিযোগ শোনেন এবং যাঁদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল সব টাকা নদগে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। বিধায়কের এই ভূমিকায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। টাকা ফেরতের বন্দোবস্ত করার জন্য তাঁরা তৃণমূল বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই আগামিকাল পুরসভার সব কাউন্সিলর ও ঠিকাদারদের নিয়ে মিটিং ডেকেছেন বিধায়ক যদিও এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
জগুদাসপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘ঠিকাদার বলল পাইপ বসাতে টাকা দিতে হবে। পাইপের যা মাপ বলল হিসাব করে দেখলাম আড়াই হাজার টাকা হয়েছে। এরপরই তাঁকে টাকা দিয়ে দিই। রসিদ ছাড়া টাকা নিয়ে গিয়েছে। টাকা ফেরত চেয়েছিলাম দেয়নি।বিধায়ক এসে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেছেন।’
অসিত মজুমদার বলেন, ‘জলের লাইন বসানোর কাজ দেখার জন্য একজন নোডাল অফিসার রয়েছেন। কাউন্সিলর রয়েছেন সিআইসি রয়েছেন কেউ জানেনা টাকা নেওয়ার বিষয়ে। চেয়ারম্যান বা পুরসভাতেও কেউ অভিযোগ করেনি। আমি ঠিকাদারকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছি। গরিব মানুষের পেটে যাঁরা লাথি মারবে, আমি তাঁদের পেটে লাথি মারব।’ অন্যদিকে বিজেপি হুগলি জেলার সাধারন সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূলের শাসনে টাকা এভাবেও ওঠে। তাঁর ভাগ যায় নেতাদের কাছে। তবে ঠিকাদার হয়তো এবার না বলে টাকা তুলেছেন। তাই টাকা ফেরতের নাটক করা হল।’