যা জানালেন মৃতার বাবা…
তরুণীর বারা বলাই দাস বলেন, ‘আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কারা খুন করেছে বলতে পারছি না। আমরা চাই তদন্ত হোক।’ তিনি জানান, লাবনী সোদপুরে কোথায় কাজ করতেন, সেটা তাঁরা জানেন না। এমনকী সেই বিউটি পার্লালের কাউকে চেনেনও না। বলাইবাবুর কথায়, ‘মেয়ে শুধু বলেছিল সোদপুরে কাজ করি। আমরা কোনওদিন যাচাই করিনি। মেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে, আমি অত জানি না।’ মেয়ের কারও সঙ্গে কোনও প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল কি না, সেই বিষয়েও কিছু জানেন না বলাইবাবু। তিনি বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এত চাপা, কিছু বলে ন। বলেছিল আমি কারও সঙ্গে ভালবাসা করি না।’
তরুণীর এক আত্মীয়ের দাবি, এর নেপথ্যে নিশ্চয় কোনও বড় চক্র আছে। তিনি বলেন, ‘ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পেলেও শুনছি, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।’ তাঁর আরও দাবি, চাউলখোলা-মন্দারমণি-তাজপুর এলাকায় একটা বড়সড় চক্র চলছে, যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে দরিদ্র পরিবারে মেয়েদের কাজ ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালনা করছে। সোদপুর পর্যন্ত এই চক্র কাজ করছে কি না, পুলিশ তদন্ত করলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ
অন্যদিকে, রামনগরের ডিএসপি-ডি অ্যান্ড টি রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস এইসময় ডিজিটালকে বলেন, ‘পরিবার দেহ শনাক্ত করার আগেই আমরা সুয়োমোটো মামলা করে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত চলছে, এখনও বলার মতো কিছু নেই। আমরা সমাধান করে দেব। বাড়ির লোকেরা এসেছিলেন, দেহ নিয়ে গিয়েছেন।’
এদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের মধ্যে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সি মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত বাতিস্তম্ভ না থাকার জেরে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। তাই স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ওই এলাকায় স্ট্রিট লাইট বাড়ানো হোক। সঙ্গে পুলিশের নজরদারি বাড়ানোরও দাবি জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে পুজোর আগে এই ধরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীদের অনেকেই। পর্যটনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।