বিজেপির জনসভায় নিশীথ বলেন, ‘বিজেপির কর্মীরা রাতের অন্ধকারে দলে পতাকা উঁচু করে রাখে। ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যায় না। কর্মীদের দেখলে আমাদের গর্ব হয়। কর্মীদের কোনও বাড়ি ভেঙে দিলে আমরা সেখানে যাই। বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। এখানকার হাতভাঙা ফুটো মস্তান মাঝেমাঝে আমার বাড়ির সামনে যান। ওখানে গিয়ে হুক্কাহুয়া করেন। উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন।’
উদয়নকে নিশানা করে নিশীথ আরও বলেন, ‘উনি বলেছিলেন, আমি যেখানে যাব কালো পতাকা দেখানো হবে। এই তো বুড়িরহাটে দাঁড়িয়ে রয়েছি, কাউতে তো খুঁজে পাওয়া গেল না। ক্ষমতা থাকলে দেখিও, জবাব কী ভাবে দিতে হয় দেখাব। ইতিমধ্যে বুড়িরহাট ও সাহেবগঞ্জে ক্ষমতা দেখিয়েছে বাকি ক্ষমতা সময় এলে দেখিয়ে দেব। যেখানে চ্যাংড়ামো হবে, সেখানে দেখিয়ে দেওয়া হবে। কেউ আমাকে মারতে এলে আমি কি পুষ্পবর্ষা করব? অযথা অশান্তি করতে এলেই তাঁর প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ হবেই। আমাদের কোনও নেতারা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে না। কিন্তু তৃণমূলের সব নেতাই এই ধরনের কাজে অভ্যস্ত।’
তৃণমূলের তরফেও নিশীথের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিশীথেক হুঁশিয়ারিকে আমল দিতে নারাজ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন। তিনি বলেন, ‘১৫ বছর আগে যে ডাকাতির মামলায় জেল খেটেছে, সে আমাকে গব্বর বললে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যাঁর চরিত্রে সমস্যা, সে অন্যের গায়ে সেই ছাপ লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, যাঁর নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সে বড় বড় কথা বলছে। সে কী বলল না বলল সেসব নিয়ে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। সামনে লোকসভা নির্বাচন, উনি যদি এখান থেকে প্রার্থী হন জনগণ যোগ্য জবাব দেবে। জনগণ তৈরি হয়ে রয়েছেন।’
কোচবিহারের জেলা রাজনীতিতে উদয়ন-নিশীথ তরজা এই প্রথম নয়। আগে একাধিকবার পরস্পরকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন উভয়ই। কখনও কখনও সেই আক্রমণ শালীনতার মাত্রাও ছড়িয়েছে। এদিনের নিশীথের এই মন্তব্য ও উদয়নের পালটা প্রতিক্রিয়া এই তালিকায় নবতম সংযোজন বলেই মনে করা হচ্ছে।