জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তরবঙ্গে প্রধান ছবির শ্যুটিঙে ব্যস্ত দেব ও সোহম চক্রবর্তী। তাঁরা যে রিসর্টে রয়েছেন সেই রিসর্ট থেকে বৃহস্পতিবার সকালে একটি প্রকান্ড অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। ছবিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি সেই সাপের উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সেই থেকেই শুরু হয় সমালোচনার বন্যা। দুই তারকার উপস্থিতিতে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল প্রশ্ন তোলে পশুপ্রেমীরা। গোটা বিষয়টিতে ধিক্কার জানিয়েছেন ময়নাগুড়ির পরিবেশ প্রেমীরাও। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সোহম।
আরও পড়ুন- Ira Khan Wedding: বিয়ে বিভ্রাট! পোস্ট মুছে জল্পনা বাড়ালেন আমিরকন্যা আয়রা…
সোহম বলেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমার পাইথনের সঙ্গে একটা পোস্ট নিয়ে কিছু মিডিয়া ও কিছু সাধারণ মানুষ তাঁদের মতো মতামত দিয়ে চলেছেন। হয়তো পুরো বিষয়টা সম্বন্ধে তাঁরা ভালো করে অবগত নন। পাইথনটিকে প্রথমে রিসর্টের লোক দেখতে পান রিসর্টের লনে এবং বন দফতরকে জানান। বন দফতরের কর্মীরা আসেন এবং সাপটিকে উদ্ধার করেন। আমি তখন ওপরের রুমে খবর পাই যে সাপ ধরা পড়েছে। জানলা দিয়ে দেখি এবং নীচে গিয়ে সাপটিকে ধরি তাকে আঘাত করার জন্য নয়, বন দফতরের কর্মীদের সাহায্য করার জন্য’।
সোহমের সঙ্গে এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে দেবেরও। এই প্রসঙ্গে সোহম বলেন, ‘দেবের নাম যে নেওয়া হচ্ছে সেটাও ঠিক নয়, কারণ যে পুরোটাই দাঁড়িয়ে দেখছিলেন তাঁর ব্যালকনি থেকে। আর রেড টিশার্ট পরে যিনি সাপটার উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি আমাদের ইউনিটের ক্রিউ নন। তিনি হয়তো বন দফতরের কর্মী কিংবা রিসর্টের কোনও কর্মী হবেন। যখন উনি পা দেন তখন আমরা কেউই ছিলাম না তাই বিষয়টার সম্পর্কে অবগত নই। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, উদ্ধারের পর কারোর সাপটির ক্ষতি করার ইচ্ছা ছিল না। হয়তো আবেগের বশে ছবি তোলা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সবাই সাহায্যই করছিলেন, যাতে অত বড় সাপটিকে ধরে নিরাপদে রাখা যায়। যাতে সাপটির কোনও ক্ষতি না হয়, এবং পুরো অক্ষত অবস্থায় সাপটিকে বন দফতরের কর্মীরা নিয়ে যান’।
আরও পড়ুন- Shah Rukh Khan|Jawan: হাসপাতালের রোগী নাচছেন ‘জওয়ান’-এর গানে, ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে নয়া আবদার শাহরুখের…
ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে অভিনেতা বলেন, ‘অনুরোধ করছি সবাইকে, পুরোটা না জেনে দয়া করে কাউকে কালিমালিপ্ত করবেন না। তাতে সত্যিটা মিথ্যে বা মিথ্যেটা সত্যি হয় না। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভাইরা কথায় কথায় বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ করো, সেটাই বন্ধ করো, তাতে কোনও হিরো হওয়া যায় না। হিরো হতে গেলে অনেক কাজ আছে সেগুলো করে নিজের পরিবারকে গর্বিত করো। তাতে ভালোই হবে। দেখো, বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ আমরাও জানি। তোমাদের ভাষায় তোমাদেরকে উত্তরও দিতে পারি। কিন্তু সেটা আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি ও রুচিতে বাধে। সবশেষে, পশুপ্রেমী হিসাবে বলতে পারি নিজের ঢাক নিজে পেটানো আমার স্বভাব নয়, যারা জানেন তারা জানেন। ভালো থাকবেন’।
