শুক্রবার ওই শিক্ষক নিগ্রহের প্রতিবাদে এবং পুনরায় তাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার দাবিতে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের এই দাবির পাশে দাঁড়ান ওই বিদ্যালয়েরই অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অশিক্ষক কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভবেশবাবুকে বিদ্যালয়ে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। এমনটা না হলে এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা।
২০২১ সালে চোপড়ায় এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা জেলা। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার এবং জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভে নামে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই ঘটনায় পথ অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ভাংচুরের অভিযোগে ভবেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তার সাজা ঘোষণা হয়। প্রায় ২৭ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর গত ২৪শে আগস্ট ছাড়া পান ওই শিক্ষক। তারপর তিনি আবার স্কুলে কাজে যোগ দেন।
যদিও ওই শিক্ষকের অভিযোগ, কাজে যোগ দেওয়ার পরও তাঁকে হাজিরার রেজিস্টারে সই করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও ছাত্র-ছাত্রী এবং সহকর্মীদের পাশে পেয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছএন ওই শিক্ষক। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণব কুমার বারুইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আইনি নিয়ম মেনে ভবেশবাবুকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
ভবেশ কর নামে আক্রান্ত শিক্ষক বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের আমার প্রতি এই ভালোবাসা দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল। সবাই যে প্রতিবাদ করেছে, আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, এতে আমি খুশি।’
