জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরে এবার কলকাতারই এক কলেজে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগক। কয়েকমাস আগের ঘটনা। সিনিয়রদের কাছে নিগৃহীত হয়েছিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। তখন না জানালেও এবার তিনি এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানালেন। অভিযোগ হল থানাতেও।
আরও পড়ুন: Kolkata Fire: চাঁদনি চকে বহুতলে আগুন, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল চারপাশ….
ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালির সেন্ট্রাল ক্যালকাটা পলিটেকনিক কলেজে। জানা গিয়েছে, ৬/৭ মাস আগে ঘটনা। কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের পোশাক সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র তাঁকে ব়্যাগিং করেন বলে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের অভিযোগ। তখন না জানালেও সম্প্রতি ওই ছাত্র তাঁর কলেজের প্রিন্সিপালকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান।
অভিযোগ পাওয়ার পরই পড়ুয়ার মতকে মান্য়তা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ‘ইন্টারনাল অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটি’ অনুসন্ধান করে। এর পরে গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে পুলিসে অভিযোগ জানান সেন্ট্রাল ক্যালকাটা পলিটেকনিকের প্রিন্সিপাল। অ্যান্টি-ব়্যাগিং অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারা ও আইপিসির ৫০৬ ধারায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly: ‘আদালতের সঙ্গে চালাকি করছে’! রাজ্যকে জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের…
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কী বলছেন সেই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র? তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে মোটেই ব়্যাগিং করা হয়নি। অভিযুক্ত জানান, ‘ও আমাদের ভাইয়ের মতো, ওর সঙ্গে ব়্যাগিং বা ওই জাতীয় কিছুই করা হয়নি। তখন কলেজে ক্যাম্পাসিং চলছিল, ও ছেঁড়া-ফাটা জিনস পরে কলেজে এসেছিল। তখন ওকে একটু চড়া গলায় বলে ফেলেছিলাম, ওই ধরনের জিনস পরে ওই সময়টায় কলেজে না আসতে। তবে এটা বলে ফেলে আমি নিজেই ভেবে দেখি যে, এভাবে ওর সঙ্গে কথা বলাটা আমার ঠিক হয়নি। আমি এর জন্য পরে ওর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিই।’
এদিকে র্যাগিং নিয়ে ইউজিসি-র তোপের মুখে আগেই পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রশ্ন, ‘র্যাগিং প্রমাণ হলেও কেন যথাযথ শাস্তি নয়’? ‘কেন বারবার লঘু শাস্তি’? ‘র্যাগিংয়ে কেন নরম মনোভাব কর্তৃপক্ষের’? ‘দোষ প্রমাণ হলেও কেন শুধুমাত্র হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া শাস্তি’? ‘৯ সপ্তাহ ক্যাম্পাসে না ঢোকার মতো লঘু শাস্তি কেন’? ‘ইউসিজির র্যাগিং বিরোধী নির্দেশিকা মেনে কেন ব্যবস্থা নয়’? কমিশনের মতে, ‘কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। উপযুক্ত শাস্তি হলে র্যাগিংয়ের পুনরাবৃত্তি হত না’।