চাঁদের কলঙ্ক হল চাঁদের গর্ত। ডানকুনির রাস্তাতেও গর্ত এখন সেই রকম কলঙ্ক। তাই ডানকুনির সেই ভাঙচোরা রাস্তায় চন্দ্রযানের মডেল নামিয়ে পথ অবরোধ করে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা। ল্যান্ডার বিক্রমও নামানো হয় ছবি তোলার জন্য। বিজেপির এই অভিনব প্রতিবাদ দেখতে স্থানীয়দের ভিড় সেখানে ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও বিজেপির এই বিক্ষোভ প্রদর্শনকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বিজেপি ডানকুনি শহরের প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মাঝি বলেন, ‘ডানকুনির রাস্তা মরণ ফাঁদ হয়ে আছে। স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলছে। সেই কারণেই আমাদের এই পথ অবরোধ কর্মসূচি। আজকে অবরোধ হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। রাস্তা সংস্কার না হলে আন্দোলন তীব্র হবে। সাধারণ মানুষের যে কোনও সমস্যায় আমরা পাশে রয়েছি।’
বিজেপিকে পালটা নিশানা করেছে তৃণমূল। ডানকুনি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি কবিরুল আলম বলেন, ‘বিজেপির যত নেতা আছে সব নাটক বাজ। চন্দ্রযান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। যেদিন চন্দ্রযান চাঁদে নামল ভারতবাসী তা দেখেছে। কিন্তু টিভির পর্দায় দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখ। ওরা বিজ্ঞানীদের সম্মান দেয়না। ডানকুনির মানুষকে পরিষেবা তৃনমূল কংগ্রেস দেয়। রাস্তা যা খারাপ হয়েছে তা পূর্ত দপ্তর সারানোর কাজ শুরু করেছে। টানা বৃষ্টির কারণে সমস্যা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে। বিজেপি এই নাটক মানুষ আর বিশ্বাস করে না। মানুষ জানে উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেসই করে।’
উল্লেখ্য, ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেয় চন্দ্রযান ৩। ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে সফর অবতরণ হয় চন্দ্রযানের। চাঁদের মাটিকে পা রাখে ল্যান্ডার বিক্রম। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র এই সাফল্য গোটা দেশবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছিল। ২২ অগাস্ট ফের ল্যান্ডার বিক্রম জেগে উঠলে তা মিরাকল হবে বলেই মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।