ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে মন্দির বাজার থানায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সারুল হালদার ও ইউনুস হালদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ছাত্রী। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি আদালতে গোপন জবানবন্দির জন্য আবেদন পেশ করে পুলিশ।
যদিও চক্রান্তের অভিযোগ করেছে অভিযুক্তদের পরিবার। অভিযুক্ত ইউনুস হালদারের স্ত্রীয়ের দাবি, তাঁর স্বামী তৃণমূল করার কারণে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন আইএসএফের কর্মী সমর্থক বলে দাবি করেন অভিযুক্তের স্ত্রী।
নির্যাতিতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। ব্যাঙ্কের কাজ হবে না জেনে আমি আমরা বয়ফ্রেন্ড ইকবার গাজিকে ডাকি। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলার সময় সাহারুল ও ইউনুস সেখানে গিয়ে হাজির হয়। বাড়ি নিয়ে আসার নাম করে সেকেন্দারপুরের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা বলে। আমাকে মারধর করে। তারপর আমাকে ধর্ষণ করা হয়। ইউনুস আমাকে ধর্ষণ করেছে। নগ্ন অবস্থায় আমার ফটো তোলে। আমার বয়ফ্রেন্ডের থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ছবি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করার পর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অপরাধীদের শাস্তি চাই।’