Nandigram TMC Leader : আবু তাহেরের আত্মসমর্পণ! শ্রীঘরই এখন ঠিকানা নন্দীগ্রামের শাসক নেতার – nandigram tmc leader abu taher khan sent to police custody by haldia court


শনিবার হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রামের ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা শেখ আবু তাহের। এদিন সকালে অনুগামীদের নিয়ে তিনি হলদিয়া আদালতে আসেন। তারপরই আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তৃণমূল নেতা। ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় আত্মসমর্পণ নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের। ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় সিবিআই বারবার নোটিস দেওয়ায় চাপ বাড়ছিল তৃণমূল নেতার উপর। অবশেষে এদিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

Justice Amrita Sinha: কুন্তলের চিঠি মামলায় বিশেষ CBI আদালতের নির্দেশের বিরোধিতা, বিচারপতি সিনহার দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা
ভোটের পর নানা জায়গায় অশান্তির মামলায় নাম জড়ায় আবু তাহের, শেখ খোশনবিসদের। চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির হত্যা মামলা-সহ একাধিক ঘটনায় তাঁর নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জুড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন আবু তাহের। এবার আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। আদালত তাঁকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ১৩ তারিখ তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে।

Abhishek Banerjee News : রক্ষাকবচের আর্জি অভিষেকের! হাইকোর্টে ED-র দাবি, ‘তথ্যের জন্য প্রশ্ন করতে চাই..’
তৃণমূল নেতার আত্মসমর্পণের পর তাঁর আইনজীবী মনসুর আলম বলেন, ‘আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা খারিজের পর আমার সুপ্রিম কোর্টে যাই। শীর্ষ আদালত দু’সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। এই মামলা এখন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারাধীন। সেই কারণে যাবতীয় রেকর্ড সহ ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে কোর্টে হাজির করা হবে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার প্রাথমিক চার্জশিটে ওঁর নাম নেই।’

রাজ্যে পালবাদলের আগে জমি আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। পুলিশ ও ভূমি রক্ষা কমিটির মধ্যে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন গোটা রাজ্যে প্রভাব পড়েছিল। জমি আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবু তাহের। ২০১১-তে রাজ্যের মসনদ দখলে নন্দীগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Justice Amrita Sinha : বিশেষ আদালতের নির্দেশ কার্যকর নয়! কুন্তলের চিঠি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে CBI
উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নন্দীগ্রাম। দীর্ঘদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকলেও তাঁর বিজেপিতে চলে যাওয়া সমর্থন করেননি আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ানের মতো তৃণমূল নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ে তাঁরা নেত্রীর পক্ষই নেই। হাড্ডাহাড্ডা লড়াইযে ১৯৫৬ ভোটে শুভেন্দুর কাছে পরাজিত হন মমতা। যদিও এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে তৃণমূল। তা এখনও আদালতে বিচারাধীন। আবু তাহেরের গ্রেফতারির দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল বিজেপি। আগামী দিনে আদালতের রায় তৃণমূল নেতার পক্ষে যায় কি না, সেটাই দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *