আর তাঁর এই ঘোষণার পরই চনমনে শালবনি। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফের একবার কর্ম সংস্থানের স্বপ্ন চোখে বাঁধছেন এলাকার বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, বাম আমলে ইস্পাত এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির জন্য ৪৩০০ একর জমি দেওয়া হয় জিন্দালদের।
২০০৮ সালের ২ নভেম্বর জিন্দাল গোষ্ঠীর কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এরপর বিভিন্ন কারণবশত তা আটকে যায়। ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ছিল, “শিল্পের জন্য দেওয়া জমি ফেলে রাখা যাবে না।”
এরপরই ১৩৫ একর জমিতে সিমেন্ট কারখানা তৈরি করেন জিন্দালরা। এরপর ২০১৮ সালে তা উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ১৫০০ একর রেখে বাকি জমি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিন্দলরা। জানা যাচ্ছে, এই জমিতেই কারখানা গড়বেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সৌরভের মেদিনীপুরে ইস্পাত তৈরির ঘোষণার পরেই রীতিমতো চনমনে শালবনি।
আসনাসুলি, জামবেদিয়া সহ ২৮টি গ্রামের জমিদাতাদের চোখে রঙিন স্বপ্ন। নতুন করে যদি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এলাকায় কারখানা তৈরি করেন সেক্ষেত্রে স্থানীয় নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বদলে যাবে বলেই আশাবাদী তাঁরা। শুধু তাই নয়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পুরনো প্রতিশ্রুতির কথাও ভেবে দেখবেন বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।
এই প্রসঙ্গে জমিদাতা সংগঠনের নেতা পরিষ্কার মাহাতো বলেন, “আমরা যখন জমি দিয়েছিলাম সেই সময় জমিদাতাদের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের মহারাজ। তাঁর বিশ্বজোড়া নাম। আশা করি তিনি আমাদের পুরনো শর্তগুলো একটু বিবেচনা করবেন।”
পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানান তিনি। ওই ব্যক্তি বলেন, “কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় আমরা এলাকার বাসিন্দারা তাঁর কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে এখানে কারখানা গড়া হয়। সেই আবেদন পূরণ হওয়ায় অত্যন্ত খুশি।”
অন্যদিকে, এলাকার BJP সাংসদও সৌরভের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সাধারণ মানুষের জন্যই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছেন, মন্তব্য দিলীপের। যদিও এরই মধ্যে তাঁর সতর্কবাণী, “সৌরভ যেন রাজনীতির চক্করে না পড়ে।”