Taekwondo Championship : ‘জেদ’-এর জোরে তাইকোন্ডোয় স্বর্ণ পদক, অলিম্পিকের স্বপ্নে বুঁদ চাষির মেয়ে রেখা – hooghly athlete rekha turi won gold medal at taekwondo championship good news


ছোট জমিতে চাষবাস করেই চলে সংসার। ভালো প্রশিক্ষণ পাওয়া তো দূরের কথা, দু’বেলা অন্ন জোটানো দায়। মনের জোর আর পরিশ্রমের জোরেই বাজিমাত করল হুগলির মেয়ে রেখা। চাষির ঘরের মেয়ের শিলং-এ জাতীয় তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়ানে স্বর্ণপদক জয়। আনন্দে আত্মহারা পরিবার।

Trending News In West Bengal: সাত পাকের ফাঁকে ৬৪ খোপের খেলা, বিয়ের মণ্ডপেই চেকমেট-এ মাতল উত্তরপাড়া
স্কুলেই খেলার প্রশিক্ষণ

পান্ডুয়ার বৈঁচির মেয়ে রেখা তুরি। ছোটো থেকেই খেলার প্রতি আগ্রহী তাঁর। জিমনাস্টিক, ফুটবল খেলতে পছন্দ করে রেখা। কিন্তু সেরকম সুযোগ হয়না। বৈঁচি বালিকা বিদ্যালয় সেই সুযোগ করে দেয়। স্কুলে তাইকোন্ডো খেলা শেখানো হয়। স্কুলে শিখেই এখন জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় একের পর এক স্বর্ণ পদক নিয়ে আসছেন রেখা।

Trending News : গোঁফদার কীর্তিতে থ এলাকাবাসী! মোচের জোরে আজব কেরামতি হুগলির অশোকের
স্বর্ণ পদক জয়

চলতি মাসে মেঘালয়ের শিলং এ অনুষ্ঠিত জাতীয় সিনিয়ার তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়ানশিপে ৫২ কেজি বিভাগে স্বর্ণ পদক পান রেখা। তার আগে দিল্লিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপে নেপাল থেকেও স্বর্ণ পদক নিয়ে আসেন। আগামী অক্টোবরে আবার নেপালে আন্তর্জাতিক স্তরে তাইকোন্ডো খেলায় অংশ নেবেন রেখা।

Trending News: ইঁদুর-গিনিপিগ নয়, মানুষের ওষুধ মলি মাছের উপর পরীক্ষা! বাঙালি গবেষকের কেরামতিতে নয়া দিশা
অভাবে সংসার

চার ভাইবোন, বাবা-মা মিলে ছয়জনের অভাবের সংসার। বাবা রাজু তুরি ক্ষুদ্র চাষি। চাষ করে যা আয় হয় তা দিনে কোনওমতে দিন গুজরান হয়। রেখার খেলার জন্য আলাদা করে কিছু করতে পারেন না। তাইকোন্ডোর মত খেলায় শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন। তার জন্য চাই ভালো খাওয়া-দাওয়া। অনুশীলনের জন্য চাই ভালো প্রশিক্ষণ। সেসব বড় বালাই। তবুও অলিম্পিকে যেতে চান রেখা। ভারতের হয়ে পদক আনতে চান।

রেখা কী জানাল?

রেখা জানাল, ছোট থেকে খেলার প্রতি আগ্রহ। কিন্তু সঠিকভাবে প্রশিক্ষক না পাওয়ার জন্য অনেক খেলাতেই এগোতে পারিনি। স্কুলে তাইকোন্ডো খেলায় আমি অংশগ্রহণ করি। তাইকোন খেলার জন্য প্রশিক্ষক থাকলেও অর্থের অভাবে একসময় তাও বন্ধ হয়ে যায়। তারপর একাই প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে থাকি। খেলার জন্য কিটের প্রয়োজন হয়। বাবা চাষবাস করে যতটুকুনি উপার্জন করে তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চালায়। তার পক্ষে খেলাধুলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

North 24 Parganas: ৩৪টি স্বর্ণপদক! সোনার ছেলেময়েরা মুখ উজ্জ্বল করল বাংলার


সরকারি সাহায্যের প্রার্থনা

রেখা জানায়, সরকারি যদি কোনও সাহায্য পাওয়া যায় তাহলে আগামী দিনে আমি আমার খেলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। ভবিষ্যতে অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ভারতের নাম উজ্জ্বল করতে চাই। বাবা রাজু তুড়ি বলেন, ‘মেয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনার সঙ্গে খেলাধূলা চালিয়ে যেত। কিছুটা দূর এগনোর পরেই আর সেভাবে মেয়েকে সাহায্য করতে পারেনি। এরপর সে নিজেই চেষ্টাতেই নিজের খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। আমি চাই মেয়ে আরো অনেক দূরে যাক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *