এছাড়া প্রতি ৩০ মিনিটে চন্দ্রযানের যাত্রা সংক্রান্ত একটি ভয়েসওভারও থাকছে। গোটা বিষয়টিতে বাস্তব অনুভূতি দিতে, রকেট থেকে ধোঁয়া বের হওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এহেন থিমের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাড়ি দিতে পারি’। ১৪ বছর ধরে গণেশ পুজোর আয়োজব করে আসছে এই কমিটি। এটিই এলাকার সবচেয়ে পুরনো গণেশ পুজো বলেও জানা গিয়েছে। এই বছর তাঁদের গণেশ পুজো ইসরোর টিমকে শ্রদ্ধা জানিয়ে করা হচ্ছে বলে জানান অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। পুজোয় দর্শনার্থীদের স্বাহত জানাবে ৫ ফুটের গণেশ মূর্তি, চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি ও দেশের জাতীয় পতাকা।
পুজোর অন্যতম আয়োজক অঙ্কিত আগরওয়াল জানান, ল্যান্ডার বিক্রমের মডেল মণ্ডপের একপাশে রাখা থাকবে। রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের ছবিও ডিসপ্লে করা হবে। চাঁদের মাল্টিমিডিয়া ছবির সঙ্গে নীল রঙের এলইডি আলোয় সেজে উঠছে মণ্ডপ। তিনি বলেন, ‘গণেশ চতুর্থীর উৎসব উপলক্ষ্যে আমার ইসরোকে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। আমাদের থিম চন্দ্রযান ৩, কারণ এটা ভারতের জন্য ঐতিহাসিক কৃতিত্ব।’
শহরে হচ্ছে আরও গণেশ পুজো
প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলির মতো এবারেরও শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হচ্ছে বেশকিছু গণেশ পুজো। দক্ষিণ কলকাতার পল্লীশ্রী পল্লী গণেশ পুজো কমিটির সদস্য জয়দীপ রাহা জানান, তাঁদের পুজোর মণ্ডপ ও প্রতিমায় থাকছে সাবেকিয়ানা। অন্যদিকে উত্তর কলকাতার মুরারীপুকুর গণেশ পুজো কমিটির সদস্য অভিষেক দাস জানান, তাঁরা বড় করেই পুজোর আয়োজন করছে। তবে সেখানে কোনও নির্দিষ্ট থিম নেই।
সল্টলেকের বৈশাখী এলাকার একটি পুজো কমিটি রাজস্থানের বিকানেরের কার্নি মাতা মন্দিরের একটি বিরাট রেপ্লিকা তৈরি করেছে। মণ্ডপে ভগবান গণেশের পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুরও মূর্তি থাকছে। পুজোর আয়োজন অনীতা মণ্ডল বলেন, ‘গণেশ এখানে সমৃদ্ধির দেবতা, আর বিষ্ণু রক্ষাকর্তা। আমরা উভয়েরই পুজো করছি, যাতে সমৃদ্ধি আসে এবং আশেপাশের নেতিবাচকতা থেকে আমাদের তাঁরা রক্ষা করেন।’