Green Firecrackers : গ্রিন বাজি হাব তৈরি হচ্ছে বনগাঁয়, শিল্পসাথী পোর্টালে আবেদন শুরু – green firecrackers hub is going to be developed at bangaon for which application has been started on silpasathi portal


আশিস নন্দী, বনগাঁ
দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরেই সবুজ বাজি হাব তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সবুজ বাজি হাব তৈরি হবে বনগাঁর চৌবেড়িয়া গ্রামে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বনগাঁর চৌবেড়িয়ায় ৮ একর জমি জেলা পরিষদ রাজ্যের মাইক্রো, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (এমএসএমই) শিল্প দপ্তরকে হস্তান্তর করেছে। পাশাপাশি শিল্পসাথী পোর্টালের মাধ্যমে ইতিমধ্যে যাঁরা সবুজ বাজি বিক্রির আবেদন করেছেন, তাঁদের জেলা প্রশাসন বাজি তৈরি ও সচেতনতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এ বছর পুজোর মরশুম থেকেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি ছাড়া সবুজ বাজি মিলবে জেলার ৯টি জায়গায় বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। আগামী বছর থেকে বনগাঁর চৌবেরিয়ায় সবুজ বাজি হাব চালু হয়ে যাবে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।

Firecracker Blast News : একা বায়ুদূষণে রক্ষা নেই, বিস্ফোরণ দোসর
এগরা, বজবজ, দত্তপুকুরে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। সম্প্রতি বারাসত ১ নম্বর ব্লকের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের দত্তপুকুর মোচপোল গ্রামে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দত্তপুকুরের এই ঘটনা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়েছে। বিস্ফোরণের পরেই মোচপোল, বেরুনানপুকুরিয়া, নারায়ণপুর, জালসুখা, কাঠুরিয়া-সহ নীলগঞ্জ, আক্রামপুরে বেআইনি ভাবে বাজি ভাণ্ডারের হদিশ পায় পুলিশ। দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণের পরেই সবুজ বাজি হাব তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Calcutta High Court Case : ‘গোখলে বলেছিলেন…কিন্তু আজকের বাংলা বিপরীতে অবস্থান করছে ‘, ‘হতাশা’ প্রকাশ হাইকোর্টের
ঠিক হয় বনগাঁ মহকুমার চৌবেড়িয়ায় তৈরি হবে সবুজ বাজি হাব। রাজ্যের মাইক্রো, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দপ্তর এই সবুজ বাজি হাব তৈরি করবে। সরকারের অধীনে থাকা জমি রাজ্যের মাইক্রো, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দপ্তরের হাতে হস্তান্তরের নির্দেশও দেওয়া হয়। জেলা পরিষদের অধীনে থাকা বনগাঁর চৌবেরিয়ায় ৮.৫৮ একর জমি সম্প্রতি হস্তান্তর করা হয়েছে রাজ্যের এমএসএমই শিল্প দপ্তরকে।

Bankura News : স্কুলের পাশেই নিষিদ্ধ বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণ, বরাত জোরে বাঁচল পড়ুয়ারা
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সবুজ বাজি হাব তৈরির পাশাপাশি সেগুলো বিক্রির জন্যও জেলার ৯টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ৯টি পয়েন্ট হলো বাগদা রোডের কুরতি বাড়ি, মধ্যমগ্রামের আব্দালপুর খেলার মাঠ এবং সৎ সঙ্ঘের মাঠ, বারাসতের জাগৃতি সঙ্ঘের মাঠ, ব্যারাকপুর মহকুমার সিঁথি সার্কাস ময়দান, পানিহাটির অমরাবতী মেলার মাঠ, ভাটপাড়ার জেলিবির মাঠের বিপরীতে একটি খেলার মাঠে, বসিরহাটের ঘোজাডাঙা চেক পোস্ট সংলগ্ন মেরুদণ্ডি হেলিপ্যাড মাঠ এবং বিধানগরের সাপুরজি ব্রিজ সংলগ্ন হিডকোর জমিতে। প্রতিটি জায়গায় ২৫ থেকে ৫০টি বাজি বিক্রির স্টল থাকবে।

Duttapukur Blast : ফের দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ! বাঁশবাগানে মজুত বোমা ফেটে বিপত্তি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
বাজি হাবে সবুজ বাজি তৈরি এবং সেগুলো বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা রাজ্য সরকারের শিল্পসাথী পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। বাজি তৈরির পুরোনো লাইসেন্স যাঁদের আছে, তাঁদের পাশাপাশি নতুন ব্যবসায়ীরাও এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে সেই আবেদন জমা পড়তে শুরু করেছে। জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, ‘সবুজ বাজি তৈরির জন্য আবেদনকারীদের গোটা বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখে, তবেই ছাড়পত্র দেবে এমএসএমই দপ্তর। সবুজ বাজি বিক্রির জন্য আবেদনকারীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে।’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘২০১৯ সালের পর জেলার কেউই বাজির লাইসেন্স নেননি। এখন শিল্পসাথী পোর্টালের মাধ্যমে এমএসএমই দপ্তরে আবেদন জানাতে পারবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *