Lalbazar Kolkata: চোখের নিমেষে গায়েব পার্স-মোবাইল! পকেটমারির ‘স্টার’ ব্যান্ডেল গ্যাং পুলিশের জালে – police arrested pick pocket and thief gang form tarapith birbhum


পকেট থেকে আচমকা হাপিস মানিব্যাগ। ব্যাগ থেকে গায়েব ফোন, পার্স। চোখের নিমেষে ভিড়ের মধ্যে হাত থেকে খুলে নেওয়া হত চুড়িও। শত খুঁজেও মিলত না চুরির মাল বা চোরের টিকিও। এমনই ত্রাস ব্যান্ডেল গ্যাংয়ের। শোনা যায়, অভিমন্যুর মতো প্রায় ঘিরে ব্যক্তির অজান্তেই এই ব্যান্ডেল গ্যাং হাতিয়ে নেয় পার্স, ব্যাগ, মোবাইল। রাজ্যের সবচেয়ে বড় কেপমারি গ্যাং ব্যান্ডেল গ্যাং। কৌশিকী অমাবস্যার রাতে বড় সাফল্য পুলিশের। তারাপীঠ ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় কুখ্যাত ব্যান্ডেল গ্যাংয়ের তেইশ জন মহিলা সদস্য। আজ তাদের তুলে দেওয়া হল লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের হাতে।
Naihati Boro Ma:’…বড়মা সবার!’ শতবর্ষে কৌশিকী অমাবস্যায় বিশেষ পুজোর আয়োজন নৈহাটিতে

কোন পথে গ্রেফতারি?

পকেটমারি, কেপমারি গ্যাঙের তেইশ জন মহিলা সদস্যকে গ্রেফতার করল বীরভূম জেলা পুলিশ । কেপমারি করতে এসে কৌশিকী অমাবস্যার রাতে তারাপীঠ মন্দির চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের । ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কৌশিকী অমাবস্যার রাতে তারাপীঠ মন্দির সহ বিভিন্ন এলাকায় বহু তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে সোনার হার, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিস ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে।

Digha Sea Beach : রঙের পর রূপ বদল, অমাবস্যা ছাড়তেই দিঘার সমুদ্রে হচ্ছেটা কী! ভীত পর্যটকরা

জানা গিয়েছে, সেই রাতেই তারাপীঠ থানার কন্ট্রোলরুমে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়তে থাকে । আর এতেই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। শুরু হয় একের পর এক জায়গায় তল্লাশি। অবশেষে ২৩ জন মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পরে গ্রেফতার হওয়া এই ২৩ জনকে তুলে দেওয়া হয় লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের হাতে।

Kaushiki Amavasya Tarapith Puja: ‘ভালো রেখ মা’, কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মমতা-অভিষেকের মঙ্গলকামনায় পুজো বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের

কীভাবে পকেটমারি?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মহিলারা কেপমারিতে সিদ্ধহস্ত ব্যান্ডেল গাঙের সক্রিয় সদস্য । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন কোন বড় ধর্মীয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তখন এরা সেখানে সেখানে যান চুরি ও ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে । একসাথে পুরো টিম ট্রেনে করে গিয়ে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে ছিনতাই করেন মোবাইল ও বিভিন্ন দামি সামগ্রী । তবে কেপমারি করার জন্য এই টিম অবলম্বন করেন অভিনব পন্থা। মূলত একটি কেপমারি করতে এরা দুটি টিমে ভাগ হয়। একজন ছিনতাই বা পকেটমারি করে চুরি করা জিনিস অন্য একজনের হাতে দিয়ে দিলে অপরজন সঙ্গে সঙ্গে চুরি হওয়া জিনিস নিয়ে এলাকা ছাড়ে ।

Tarapith Kaushiki Amavasya : কৌশিকী অমাবস্যায় ‘অশনি সংকেত’! চিন্তায় তারাপীঠের মদ ব্যবসায়ীরা
স্বাভাবিকভাবেই এই কারণের জন্যই এই গ্যাং এর সদস্যদের ধরা মুশকিল হয়ে পড়ে পুলিশের। কিন্তু, কৌশিকী অমাবস্যার দিন বানচাল হয়ে যায় এদের সমস্ত চাল । একের পর এক জিনিস চুরি যাওয়ার অভিযোগ সামনে এলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে নজরদারি শুরু করে । তাতেই মেলে সাফল্য। গ্রেফতার হয় কুখ্যাত গ্যাংয়ের ২৩ জন সদস্য । শনিবার জেলা পুলিশের তরফে তাদের তুলে দেওয়া হয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *