ফলে পুজোর আগে এভাবে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম অসুবিধায় পড়লেন শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, এই মিলে স্থায়ী অস্থায়ী মিলে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করে। একজন শ্রমিক বললেন, সাহেবরা তাদের অল্প বেতন দিয়ে বেশি পরিমাণে খাটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছে। কাজে একটু কম বেশি হলেই মারাত্মক ভাষায় গালিগালাজ থেকে শুরু করে গায়ে হাত পর্যন্ত দিচ্ছে মালিক পক্ষ বলে অভিযোগ এতেই শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ।
এছাড়া শ্রমিকদের বক্তব্য, পুজোর আগে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং বোনাসের টাকা দিতে হবে মালিক পক্ষকে। যাতে সেই টাকা দিতে না হয় একটা বাজে কারণ দেখিয়ে মিল বন্ধ করে দিল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ।
বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন,’রাজ্যে শিল্পের, জুটমিলগুলোর বারোটা বাজিয়েছে বামেরা। এই মিলটা অনেকদিন বন্ধ ছিল। মাঝে আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তি মিলটি কেনেন। কিন্তু তাঁর হাতে মালিকানা যাওয়ার পরই ওখানে যে প্রেসিডেন্ট আছে সে কনট্র্যাক্টর রাজ কায়েম করতে চায়। সেই নিয়ে ঝামেলা। এর জন্য শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে। মিল থেকে মিথ্যে মামলা দিয়ে এক শ্রমিককে গ্রেফতার করায়। পরে সে ফিরে এসে ক্ষমা চাইলেও তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে। অন্য একজনকেও মারধর করেছে জোর করে বসিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। বেআইনি ভাবে অন্য জায়গা থেকে সস্তায় কাজ করাচ্ছে।’
গত সেপ্টেম্বরেও এভাবেই বিনা নোটিশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জুট মিল। জুটমিলের প্রাক্তন মালিক পবন কুমার কানোরিয়া মারা যাওয়ার পর আগাম নোটিশ ছাড়াই ঝাঁপ টেনে দেওয়া হয়। মালিকানা হাত বদলের পর কয়েক মাস আগেই খুলেছিল এই জুটমিল। রাজ্যে পাট শিল্পের হাতে গোণা কারখানাই এখন খোলা। এদিন তার থেকে কমল আরও এক সংখ্যা। এতে বিরোধীরা ফের শাসক দলের দিকেই আঙুল তোলে।