Air Pollution : দূষণ রুখতে পথ দেখাবে বঙ্গসন্তানের তৈরি গ্যাজেট – bengali scientist found a new direction to save the environment from air pollution


তাপস প্রামাণিক

ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এই দূষণের অন্যতম বড় সোর্স হলো কলকারখানা এবং যানবাহনের ধোঁয়া। তার হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচতে নতুন দিশার সন্ধান দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী সৌমিত্র শতপথী। রুরকি আইআইটি-র সেন্টার ফর সাসটেনেবল এনার্জি ডিপার্টমেন্টের ডিপার্টমেন্টাল হেড সৌমিত্রের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী তৈরি করেছেন একটি নতুন গ্যাজেট, যা দিয়ে কলকারখানা এবং গাড়ির ধোঁয়াকে সহজেই জব্দ করা যাবে।

শুধু তা-ই নয়, সেটাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে জ্বালানি। সম্প্রতি অ্যাপ্লায়েড ক্যাটালিস্ট বি-এনভায়রনমেন্টাল নামে একটি সায়েন্স জার্নালে সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌমিত্রর আদি বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুর থানার নাকোল গ্রামে। যাদবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি পাড়ি দেন ইউএসএ-র বোস্টন শহরে।

West Bengal Panchayat : পঞ্চায়েত মেম্বারদের ট্রেনিং আইআইএম-আইআইটিতে
সেখানকার ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজ়িক্স এবং অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্সের উপরে পিএইচডি করেন। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি রুরকি আইআইটি-র ফিজ়িক্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে যোগ দেন। তরুণ গবেষক হিসেবে ইতিমধ্যেই তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। পেয়েছেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেতাব। তাঁর নেতৃত্বেই কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে তৈরি করেছেন এই অভিনব গ্যাজেট যা কার্বন দূষণ রুখে দিতে সক্ষম হবে।

সৌমিত্র জানাচ্ছেন, কারখানা এবং যানবাহন থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড বাগে আনতে তাঁরা আইআইটি-র গবেষণাগারে ‘পেরোভস্কাইট মেটিরিয়াল’ তৈরি করেছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, পেরোভস্কাই হলো একটি খনিজ পদার্থ। ঘরে রং করতে এই জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয়। টুথপেস্টেও পেরোভস্কাইট থাকে। এর মধ্যে কপার ঢোকানো হয়েছে।

Bankim Setu Howrah : ভেঙে পড়ছে চাঙর! ‘বিপজ্জনক’ বঙ্কিম সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ কবে? ক্ষোভ হাওড়ায়
পেরোভস্কাইট মেটিরিয়াল তৈরির পাশাপাশি কার্বনডাই অক্সাইড ভেঙে কী ভাবে স্বয়ংক্রিয় উপায়ে হাইড্রোকার্বন তৈরি হবে, তার মেকানিজ়মটাও আবিষ্কার করেছেন সৌমিত্ররা। সৌমিত্রের ব্যাখ্যা, কার্বন ডাই-অক্সাইড ভেঙে তৈরি হবে কার্ব ও অক্সিজেন। তার সঙ্গে হাইড্রোজেন মিশলে বিজারিত হয়ে তৈরি হবে ইথানল, মিথেন (হাইড্রোকার্বন) জাতীয় পদার্থ। যা আদতে বায়োফুয়েল। সেটাকে খুব সহজেই যানবাহন এবং কলকারখানায় শক্তি উৎপাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে।

Gadiara Howrah : প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাঁ চকচকে সাজ! পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হাওড়ার এই পর্যটনকেন্দ্র
এই গ্যাজেট কিনতে খুব বেশি খরচ হবে না। তাই গাড়িতে এই গ্যাজেট লাগালে দামে খুব একটা হেরফের ঘটবে না। এই যুগান্তকারী গবেষণাকে মানবসভ্যতার কাজে ব্যবহার করতে বিভিন্ন শিল্পসংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে সৌমিত্র জানিয়েছেন। সৌমিত্র বলেন, ‘চাইলে আমরা হয়তো কোনও বিদেশি সংস্থাকে এটা বেচে দিতে পারি। তাতে আমাদের রোজগার একটু বেশি হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছা, এই গবেষণা দেশের কাজে লাগুক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *