Dengue Fever : দক্ষিণ ছাড়িয়ে উত্তরেও সংক্রমণ বাড়ছে ডেঙ্গির – dengue infection is increasing in south to north kolkata


শ্যামগোপাল রায়

১ জানুয়ারি থেকে ১০ সেপ্টেম্বর — কলকাতায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ২৫১০ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে উত্তর কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন মাত্র ৩১০ জন। বাকি আক্রান্তদের ঠিকানা ছিল দক্ষিণ এবং সংযোজিত এলাকা। কিন্তু ছবিটা বদলে গিয়েছে গত সাতদিনে। স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের সংক্রমণও। শেষ সাতদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪০ জন, যার মধ্যে ১৯০ জনেরই ঠিকানা উত্তর কলকাতা।

শেষ সাত দিনের হিসেবে কলকাতার ১৬টি বরো এলাকার মধ্যে তিনটি এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যেটা চিন্তার সেটা হলো, ওই তিনটি বরোর মধ্যে রয়েছে কাশীপুর, টালা, পাইকপাড়া, শিয়ালদহ, বউবাজার, মানিকতলা, শোভাবাজার। উত্তরে ডেঙ্গি সংক্রমণ ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯.৩ শতাংশ।

Dengue Cases : মৃত্যুতেও ফিরছে না হুঁশ, মশার খোঁজে অভিযান পুলিশকে নিয়ে
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তার বক্তব্য, ‘এতদিন শহরের দক্ষিণ এবং সংযোজিত এলাকাতেই আক্রান্তের খবর আসছিল। তবে, গত সাতদিনে উত্তরের সংক্রমণ বাড়ছে।’ কেন হঠাৎ করে উত্তরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে? পুর কর্তাদের বক্তব্য, ওই অঞ্চলে ফাঁকা জমি না থাকলেও বন্ধ পড়ে থাকা বাড়ির সংখ্যা অনেক। যেগুলিতে জল জমে মশার লার্ভা বাড়ছে।

Dengue Fever : ডেঙ্গির গ্রাফ চড়ছেই, আঁচ পেতে এলাইজ়া মেশিন ১৬ পুরসভাকে
তাছাড়া, নিকাশি খালের পাশে আর্বজনা ফেলা, বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে জল জমিয়ে রাখার প্রবণতাও রোগ বৃদ্ধির কারণ। কাশীপুরের বাসিন্দা সমীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘প্রথম দিকে বন্ধ বাড়িতে বিশেষ নজর দেওয়া হলেও এখন আর তা হচ্ছে না বলেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। আসলে সংক্রমণ সেভাবে না হওয়াতেই একটা ঢিলেমি কাজ করেছে।’

১ নম্বর বরোর পাশেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকা। বর্তমানে যেখানে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। ওই পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০০ কাছাকাছি। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকার বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহাকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ডেঙ্গি মোকাবিলায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Dengue In Kolkata : ১২ এলাকা থেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬৮%, চিন্তা বাড়ছে কলকাতায়
তরুণের বক্তব্য, ‘দক্ষিণ দমদম পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই আমরা কাজ করছি। তবে, বন্ধ বাড়ি অবশ্যই চিন্তার কারণ।’ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তালা ভেঙে বন্ধ বাড়িতে ঢুকে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে দাবি পুর কর্তাদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *