শুধু বাংলা নয়, অবাঙালি সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন ভারতের অন্যান্য রাজ্যের চিত্রও। তবে সেখানে কোনও রাজনৈতিক কূটকচালি নয়, ছিল দেশের স্বর্ণালী দিক। অনুষ্ঠানে আসা সদস্যদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয়ও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা জিজ্ঞেস করা থেকে শুরু করে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পাওয়া দুর্গাপুজো দেখতেও প্রবাসী বাঙালি তথা ভারতীয়দের আহবান জানান তিনি। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন যে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পেয়েছে সেই গর্বও ভাগ করে নেন সেখানে উপস্থিত বাঙালিদের সঙ্গে। এছাড়া প্রবাসীদের আপন অ্যাপের কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের পুজোয় বিশ্ববাংলা লোগো ব্যবহারের কথাও বলেন। জানান, বিদেশেও এবার দেওয়া হলে বিশ্ববাংলা পুরস্কার।
সোশ্যাল মিডিয়া এদিনের অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বার্সেলোনায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করে আমি অভিভূত। আজ এখানকার ভারতীয় ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করে বুঝলাম সংস্কৃতির শিকড় কতটা গভীর যা আমাদের বেঁধে রেখেছে।’ রবিবারই মাদ্রিদ থেকে ২ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ট্রেন সফরে আরেক ফুটবলের শহরে। বিশেষ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও শত অনুরোধ সবিনয়ে খারিজ করে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতেই সফর করেন় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সন্ধেতেই স্থানীয় বেঙ্গলি কালচারাল কমিউনিটির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানকার এল প্যালেস হোটেলে যান তিনি। সেখানেই তাঁর অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বার্সেলোনায় এসেছেন স্পেনের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীনেশ পট্টনায়েক এবং তাঁর স্ত্রী।