TMC West Bengal : এক পদে ২ সভাপতি, চরম বিভ্রান্তি! দুই TMC নেতার দ্বন্দ্বে তুঙ্গে জল্পনা – trinamool congress two president in memari purba bardhaman jai hind bahini creates confusion in district tmc


শাসকদলের সংগঠনের পদ নিয়ে এবার চরম বিভ্রান্তির ছবি বর্ধমানে। একটি পদে সভাপতি দু’জন। ওই দু’জনের কাছেই জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সভাপতির সাক্ষরিত নিয়োগপত্র। বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে শহরে দু’দিনের সভা। সভার দুই আয়োজকই নিজেদেরে তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর শহর সভাপতি বলে দাবি করেছেন। প্রমাণ হিসেবে দু’জনেই দেখাচ্ছেন সংগঠনের অ্যাপয়মেন্ট লেটারও। তবে বাস্তবে সভাপতি কে? সেই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বর্ধমানের মেমারিতে।

Bankura Bjp MP : ‘স্বৈরতন্ত্র-একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছেন সুভাষ সরকার! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘরে বন্দি করলেন দলেরই ‘বহিষ্কৃত’রা
সভাপতি পদে দুই দাবিদার ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ালেও গোটা বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে দাবি করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, জয়হিন্দ বাহিনী সামনে থাকলেও এই লড়াই আসলে তৃণমূলের শহর সভাপতি স্বপন ঘোষালের সঙ্গে মেমারি পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ীর। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলেও এই নিয়ে বিতর্ক দেখা গিয়েছে।

নিজেকে জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি দাবী করে মেমারি শহরের বামুনপাড়া মোড়ে সভা করেন সৌরভ ঘোষ। সভায় হাজির ছিলেন মেমারির পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ী। অন্যদিকে দু’দিন পর একই দাবিতে একই জায়গায় সভা করেন সুনীল চৌধুরী। সেই সভাতে উপস্থিত ছিলেন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল। এই নিয়েই এখন তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Tmc News : ‘উপঢৌকন’ নিলে দল দায়ী নয়, লোকসভার আগে নেতাদের হুঁশিয়ারি TMC বিধায়কের
সৌরভ নিজেকেই জয়হিন্দ বাহিনীর ‘আসল’ সভাপতি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমিই জয়হিন্দ বাহিনীর মেমারি শহরের সভাপতি। আমাকে নিয়ম মেনে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। সুনীল চৌধুরীকে নিয়ম মেনে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। ৪ অগাস্ট আমাকে নিয়োগপত্র দিয়েছেন। জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়েই পথসভার আয়োজন করা হয়েছে।’ অন্যদিকে খানিক একই ধরনের দাবি করেছেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সভাপতি আমাকে এই পদে নিয়োগ করেছে। আমার কাছে নিয়োগপত্রও রয়েছে।’

Anubrata Mondal News: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে একঘরে অনুব্রত অনুগামী! পদত্যাগ পত্র জমা খয়রাশোলের ব্লক সভাপতির
অর্থাৎ দু’জনের কাছেই রয়েছে জেলা সভাপতির নিয়োগপত্র। তার জেরেই দু’জনই মেমারি শহরের সভাপতি বলে দাবি করে সভা করেছেন। আর তা নিয়েই শহরের তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে যেমন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তেমনই প্রকট হয়ে উঠেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলা জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি রবীন নন্দীকে বারবার টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এই নিয়ে মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল বলেন, ‘মেমারির জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি আসলে কে, তা তো জেলা সভাপতিই বলতে পারবেন। জয়হিন্দ বাহিনীর প্রাক্তন সভাপতি দলকে অন্ধকারে রেখে কাজ করছিলেন। তাই হয়তো দল তাঁকে সরিয়ে আবার নতুন একজনকে সভাপতি করেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *