Vishwakarma Puja 2023 : বিশ্বকর্মার আরাধনায় সম্প্রীতির মেলবন্ধন, বারাসত মৎস্য আড়তে পুজো করেন মুসলিমরা – muslim community arranges vishwakarma puja at barasat fishery union


Vishwakarma Puja-য় সম্প্রীতির নজির। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের চালু করায় পুজোয় আজ সকল স্তরের মানুষের বিশ্বকর্মার আরাধনা। বারাসাতে দেখা গেল এমনই ছবি। পুজোর আয়োজনে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি, দাবি উদ্যোক্তাদের।

Vishwakarma Puja 2023: শিল্প আনতে স্পেনে মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই রাজ্যে ঝাঁপ পড়ল আরও এক জুটমিলে
কী জানা যাচ্ছে?

মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা একত্রিত হয়েই এই বিশ্বকর্মা পুজো শুরু করেছিলেন। আজ ৩৩ বছর অতিক্রম করেছে এই পুজো। বারাসাতে মৎস্য আরত শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্বকর্মা আরাধনায় মাতলেন সব ধর্মের মানুষ। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও পুজোর আয়োজন করা হয় রীতি মেনে। এই পুজোর পরিচালনা কমিটির প্রায় ৯৫ শতাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।

Vishwakarma Puja 2023: স্বর্ণলঙ্কা থেকে জগন্নাথ বিগ্রহ! আজ বিশ্বকর্মায় পুজোয় জানুন দেবশিল্পীর কয়েকটি বিষ্ময়কর কীর্তি
রীতি মেনে পুজোর আয়োজন

মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও সব রীতিনীতি মেনে প্রতি বছরের ন্যায় ২০২৩ বর্ষ পূজা অর্চনাই মৎস্য আড়ত সমিতির সকল সসদস্যবৃন্দ। এক কথায় হিন্দু মুসলিম মিলেমিশই একাকার এই পুজোতে। সকল ধর্মের পুরুষ-মহিলা সকলে মিলেমিশে সকাল থেকে পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত। কে হিন্দু, কে মুসলিম! ভেদাভেদ ভুলে পুজোয় মেতে ওঠেন সকলে।

Vishwakarma Puja: করোনার ছেদ ভুলে ত্রিশ বছরের পুরনো রীতির পালন, ট্রেনেই ঢাল-ঢোল বাজিয়ে বিশ্বকর্মা পুজো নিত্যযাত্রীদের
পুজোর উদ্যোক্তারা কী জানাচ্ছেন?

পুজোর এক উদ্যোক্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই পুজো হয়ে আসছে। এখনকার অধিকাংশ কর্মী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে এই মুসলিম ভাইরা নিজেরা দায়িত্ব নিয়েই এই পুজোটা করে। এরা যে মুসলিম কেউ এটা বুঝতেই পারবে না। আমরা সকলেই ওদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই পুজোর আয়োজন করি।

Vishwakarma Puja : লোকাল ট্রেনে মহা ধুমধামে বিশ্বকর্মা পুজো

বিশ্বকর্মা পুজো

হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুসারে আজ, সারা দেশ জুড়ে বিশ্বকর্মা দেব এর পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে সাড়ম্বরে। পুরাণ অনুযায়ী, স্বয়ম্ভূ ও বিশ্বের স্রষ্টা অন্যতম সৃষ্টিকর্তা হলেন বিশ্বকর্মা। এমনকি কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। রামায়ণে লেখা আছে লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র থেকে শুরু করে শিব-এর ত্রিশূল, কুবের-এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য সমস্ত রকম অস্ত্রের কারিগর মানা হয় তাঁকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *