West Bengal Government : রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে এবার নয়া মোড়, HRMS-র মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে শিক্ষকরা? – west bengal government teacher salary control through hrms


এই সময়: রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাতের মধ্যে কি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে রাজ্য সরকার? গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারদের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে একটি জরুরি বৈঠকে তলব করার সূত্রে এই জল্পনাই জোরালো হচ্ছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকের বিষয়বস্তু হিসেবে রাখা হয়েছে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এইচআরএমএস।

এই ব্যবস্থায় সরকারি বেতন সরকারের তহবিল থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে। কলেজস্তরে বছর কয়েক আগে থেকেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন হয় সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে এইচআরএমএস ব্যবস্থার মাধ্যমে। কিন্তু এতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনখাতে টাকা প্রতিষ্ঠানের কাছেই পাঠিয়ে দিত রাজ্য। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেই টাকা বেতন হিসেবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হতো।

Bratya Basu : কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের ৫ উপাচার্য, ‘ক্রীতদাস’কটাক্ষ ব্রাত্যর
সূত্রের দাবি, এবার রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও এই কেন্দ্রীয় নিয়মের আওতায় আনতে চাওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি। নবান্নের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ, রবীন্দ্রভারতী, কল্যাণী, বর্ধমান, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, বিদ্যাসাগর, কাজী নজরুল, ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানের ফিনান্স অফিসারদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সেই সময়ে একবার এই ব্যবস্থা চালু করতে গিয়েও পিছিয়ে আসে রাজ্য সরকার।

যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষকরা রবিবার এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার হন সাধারণ ভাবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য/ফিনান্স অফিসার/রেজিস্ট্রার। এইচআরএমএস চালু হলে ডিডিও হবেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কোনও আধিকারিক, যা আইনের পরিপন্থী।’

Jadavpur University Ragging : ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার ১ মাস পার, সেই তিমিরে যাদবপুর
ওই সংগঠনগুলির আশঙ্কা, ‘এইচআরএমএস চালু হলে বেতন দেওয়ার অধিকার আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাতে থাকবে না। সেক্ষেত্রে যদি বিকাশ ভবন থেকে কারও মাইনে আটকে দেওয়া হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুই করার থাকবে না। তাছাড়াও এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী-শিক্ষকদের সরকারি কর্মী ধরে নিয়ে বদলি-সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া চালু করতে পারে।’ একে তাই তাঁরা সরাসরি স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।

যদিও রাজ্যের শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসুর কথায়, ‘অনেক বছর ধরে তো কলেজে এইচআরএমএস ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সেখানে কি শিক্ষকদের স্বাধিকার নেই? নাকি সেখানে যাঁরা বিরোধী মনোভাবাপন্ন শিক্ষক তাঁরা বেতন পান না?’ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য রবিবার বলেন, ‘মোটেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করছি না। মুখ্যমন্ত্রীও চান না, এমন কিছু হোক।

Jadavpur University : বাধা দেওয়া হচ্ছে কাজে: ৩ সপ্তাহেই সরব উপাচার্য, যাদবপুরে নিশানায় কিছু ছাত্র-শিক্ষক
তবে আচার্য তথা রাজ্যপাল যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কুক্ষিগত করতে চাইছেন, তাই আমরা শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করছি। স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করায় আমাদের বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *