Aadhaar Biometric Lock Fraud : ‘বায়োমেট্রিক লক’-এর নামেও Aadhaar প্রতারণা! নতুন ফাঁদের হদিশ – aadhaar biometric lock fraud fraudsters started new kind of scam to extort money


আধার কার্ড তৈরিতে ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক ক্লোন করে শহরে একের পর এক প্রতারণার ঘটনার ঘটেছে। সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন আইনজীবী থেকে শুরু করে অভিনেত্রী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সকলেই। নিমেষের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য ক্লোন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করেছে প্রতারকরা। বায়োমেট্রিক প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে ‘বায়োমেট্রিক লক’ করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ ও সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এর মাঝেই সামনে এসেছে আরও এক নতুন ধরে আধার প্রতারণার ছক।

Aadhar Card Fraud Case : বায়োমেট্রিক ক্লোন করে অ্যাকউন্ট সাফ! কী ভাবে ঠেকাবেন Aadhar প্রতারণা, জানাল কলকাতা পুলিশ
‘বায়োমেট্রিক লক’-এর নাম করে এবার প্রতারিত করা হচ্ছে গ্রাহকদের। আধার অফিসের নামে ভুয়ো ফোন করে প্রতারিত করা হচ্ছে গ্রাহকদের। বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য ক্লোন করে একাধিক প্রতারণার ঘটনার পর অচেনা নম্বর থেকে ফোন পান সোনারপুরের ব্যবসায়ী প্রণয় হালদার। তাঁকে ফোন করে বলা হয়, ‘আধার অফিস থেকে কথা বলছি। বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে এখন প্রতারণা হচ্ছে। সরকার তা লক করার পরামর্শ দিচ্ছে। আপনি যদি লক করতে চান, তবে একটি লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে, তাতে ক্লিক করুন। বায়োমেট্রিক লক হয়ে যাবে।’ যদিও প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেননি ওই ব্যক্তি। কারণে সন্দেহ হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীর।

Telegram Fraud Alert : টেলিগ্রামে প্রতারাণা বড় ‘জাল’, গায়েব হবে টাকা! বাঁচতে ৫ দফা অ্যাডভাইজরি পুলিশের
ওটিপি ছাড়াই আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য ক্লোন করে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। আধার এনেবেল্ড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস)-কে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। কী ভাবে আধারের তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। এই অবস্থায় সরকার, পুলিশ ও সাইবার বিশেষজ্ঞদের তরফে ‘বায়োমেট্রিক লক’ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবার সেই ‘বায়োমেট্রিক লক’-কে হাতিয়ার করে প্রতারণার জাল বুনছে প্রতারকরা। তাদের তরফে পাঠানো লিঙ্কে ভুলবশত একবার ক্লিক করে ফেললেই নিমেষে গায়েব হয়ে যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

Cyber Crime : সিপিএম নেতার অ্যাকাউন্টে হানা, হাতিয়ার সেই আধার বায়োমেট্রিক
ইতিমধ্যেই রাজ্যের নাগরিকদের কলকাতা পুলিশের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। লালবাজারের পরামর্শ অবিলম্বে m-Aadhar মোবাইল অ্যাপে গিয়ে গ্রাহকদের নিজের বায়োমেট্রিক লক করতে হবে। এছাড়া কোনও অজানা বা অচেনা নম্বর থেকে আসা ফোনে ওপারের থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা যাবে না। ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক থানায় এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেখা গিয়েছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ও ওডিশা থেকে এই ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *