আজ সকালেই নামখানা ব্লকের নারায়ণগঞ্জ এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধে হঠাৎই ধস নামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই মাস আগে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে মাটি ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে ওই বাঁধটি নির্মাণ করেছিল সেচদফতর। ২ মাস যেতে না যেতেই প্রায় ১০০ মিটার নদী বাঁধে ধস নামায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই বাঁধ নির্মাণের কাজ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে নামখানার নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দারা। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
এই প্রসঙ্গে গীতা মান্না নামে এক মহিলা জানাচ্ছেন, লাগাতার বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে বাঁধ। যার জেরে ভীষণই আতঙ্কিত তাঁরা। বাঁধের কাজ ভালভাবে হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। অপর এক ব্যক্তি জানান, ‘কখন ভেঙেছে জানি না। সকালে দেখলাম। নেতাদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা খবর পেয়ে এসে পরিস্থিতি দেখলেন। জোয়ারে জল ঢুকবে, কী হবে বুঝতে পারছি না’
এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘এই ভাঙনটা উপর দিয়ে নয়, নীচ দিয়ে হচ্ছে। সেই কারণে ওখানে ৬ কোটি টাকার একটা টেন্ডার হয়। নতুন পদ্ধতিতে কাজটি করা হচ্ছিল। আমি উদ্বোধন করেছিলাম। ইতিমধ্যেই সেচদফতর দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ভাঙনটা সরাসরি নয়, এটা নদীর জলোচ্ছ্বাসে নয়, এটা হচ্ছে ভিতর থেকে। ফলে হটাৎ দেখা যাচ্ছে মানুষজন ঘরবাড়ি নিয়ে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছেন। ১২৫টি পরিবারকে ওই জায়গা থেকে সরাতে হয়েছে। তবে অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেচদফতর দেখছে।’
সম্প্রতি কৌশিকী অমাবস্যা গিয়েছে। কিন্তু সেই সময় নদীর ওই বাঁধে কিছু হয়নি। কিন্তু তারপরের এই ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন। একইসঙ্গে আতঙ্ক বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বর্ষা এখন শেষের দিকে হলেও বৃষ্টি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। সেই জায়গা থেকে ফের যদি বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই মনে করছেন এলাকাবাসীরা।