প্রত্যেক বছরের থিমের জাদুতে দর্শকদের চমকে দেয় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ শ্রীভূমির পুজো দেখার জন্য আসেন। এবারে শ্রীভূমির থিম ‘ডিজনিল্যান্ড’। জোরকদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। ক্লাব সদস্যরা জানিয়েছেন, পুজোর সব কাজ যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় গণপতি বাপ্পার কাছে তাঁরা সেই প্রার্থনা করেছেন।
গণেশ পুজো শুরুর সময় থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর থেকে ক্লাবে গণেশ চতুর্থী শুরু করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। গণেশ পুজো শুভ, সেই কারণে স্থানীয়দের দাবি মেনে শুরু করা হয়েছে। গণেশ ঠাকুরের জন্য বিশেষ ধরনের লাড্ডু ও মোদক তৈরি করা হয়েছে। এই পুজোয় পাড়ার সকলে উপস্থিত থাকে। স্থানীয়দের ভোগ বিতরণ করা হবে। আগামিকাল ক্লাবে বিশ্বকর্মা পুজোও হয়েছে। দুর্গাপুজোয় প্রচুর মানুষ এখানে উপস্থিত থাকে। এবারও মানুষ আরও বেশি করে আসবেন। পুজো করা ভালো। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।’
কখনও বাহুবলী ছবির ‘মাহেশমতী’, কখনও আবার দুবাইয়ের ‘বুর্জ খলিফা’-র আদলে মণ্ডপ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে শ্রীভূমি। প্রত্যেক বছর শ্রীভূমির ভিড় সামাল দিতে নাভিশ্বাস ওঠে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে পুলিশর। এমনকী ভিড়ের কারণে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব সংলগ্ন ভিআইপি রোড অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। বিমানবন্দরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তায় ভিড় হওয়ার কারণে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
সম্প্রতি দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে ভিড় সামলানো নিয়ে শ্রীভূমির স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ও মন্ত্রী সুজিত বসুকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মজার ছলে মমতা বলেন, ‘সবচেয়ে দুষ্টুমি করে সুজিত বোস। এমন চালাকি করে সবটা করে, এয়ারপোর্ট থেকে লোক আসতে পারে না। পুলিশকে বলব এয়ারপোর্ট কোনওভাবেই যাতে ডিসটার্ব না হয়। চালাকিটা আমি বুঝি। তুমি দমকলমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছে। শুধু তোমার পুজোয় লোকে যাবে, বাকিদেরটায় যাবে না, এটা তো হতে পারে না… ট্রাসপোর্ট ব্লক হলে আমি তোমাকে ব্লক করে দেব।’