স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই কারণে বন দফতর ও পুলিশের তরফে এলাকায় মাইকিং করে আসল ঘটনার কথা স্থানীয়দের জানানো হয়। মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে এই নিয়ে সতর্ক করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে বাউড়িয়ার গৌরীখালে একটি প্রাণীকে জলে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনায় গোটা এলাকায় কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরই খবর যায় বাউড়িয়া থানায়। পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। খবর পেয়ে রাতে বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁরা গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন যে প্রাণীটি আসলে কুমির নয়, ঘড়িয়াল।
পরে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়। এদিন বন দফতরের পক্ষ থেকে ঘড়িয়ালের পাশাপাশি বন্যপ্রানীদের শিকার, হত্যা বা বিরুক্ত না করার ব্যাপারে সচেতন করা হয়। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রান আইন অনুযায়ী এই কাজে যদি কেউ যুক্ত থাকে তাহলে তার ৭ বছরের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমান বা উভয় হতে পারে বলে সাধারন মানুষকে সর্তক করা হয়। বন দফতর সূত্রে খবর মঙ্গলবার ঘড়িয়ালটিকে এলাকায় আর দেখা না গেলেও নদী তীরবর্তী এলাকায় মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
সম্প্রতি হুগলি জেলাতেও কুমির আতঙ্ক ছড়ায়। হুগলির উত্তরপাড়ায় হিন্দমোটর এলাকায় গঙ্গায় একটি লম্বাটে ধরেনের প্রাণীকে সাঁতার কেটে যেতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বিবি স্ট্রিট ঘাট এলাকার গঙ্গাতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ওই প্রাণীটির লেজে কাঁটা থাকার কারণে স্থানীয়দের বন্ধমূল ধারণা হয় প্রাণীটি কুমির। পরে খবর পেয়ে বন দফতর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, প্রাণীটি আদৌ কুমির নয়। সেটি একটি ঘড়িয়াল। বন দফতরের আধিকারিকরাও তা নিশ্চিত করেন। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘড়িয়াল মানুষের কোনও ক্ষতি করে না।