পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে ২২৪টি স্কুল KMC-র অধীনে রয়েছে। সেই স্কুলে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। সব মিলিয়ে পুরসভার স্কুলগুলিতে ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে। পুরসভার সব স্কুলের নিজস্ব ভবন নেই। একটি ভবনে আলাদা শিফটে দুটি স্কুল চলে।
মেয়র পারিষদ বলেন, ‘পুরসভার অধীনে থাকা স্কুলগুলির পডুয়াদের অধিকাংশ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দুঃস্থ পরিবার থেকে পড়তে আসে। এমন পরিবারে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস প্রায় নেই বললেই চলে। গল্পের বই পড়ার অভ্যেস থাকলেও এই সব ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের তা কিনে দেওয়ার সামর্থ থাকে না। আমার দেখেছি, পাঠ্য পুস্তকের বাইরে আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের গল্পের বই পড়ার অভ্যেস নেই। তাদের মধ্যে এই অভ্যেস হয়তো গড়ে ওঠেনি। এই ধরনের বই সংগ্রহ করে রাখলে পড়ুয়াদের মধ্যে সেই অভ্যেস গড়ে উঠতে পারে।’
একটি ইংরেজি দৈনিকের সঙ্গে কথা বলার সময় সন্দীপন বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে উন্নত পরিবারে শিশুরা বড় হওয়ার পর তাদের জন্য কেনা অনেক বই ফেলে দেওয়া হয়। আমরা শহরের নাগরিকদের এই বইগুলি বিক্রি বা ফেলে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তার বদলে তাঁরা যদি আমাদেপ বইগুলি দান করেন, তবে শিশুরা পড়তে পারে।’
পুরসভার তরফে দাবি করা হয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১৫টি স্কুলে পুরনো লাইব্রেরি রয়েছে। দুটি লাইব্রেরিতে অত্যাধুনিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১৫ হাজার শিক্ষকের পাশাপাশি স্কুলগুলিতে ৮৫০ জন শিক্ষকও রয়েছেন। তবে শিক্ষকের সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে সন্দীপন জানান, শিক্ষকের সংখ্যার পাশাপাশি বেশ কিছু স্কুলে পড়়ুয়াদের সংখ্যাও কম।