কী জানা যাচ্ছে?
মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে বিষ্ণুপুর পুরসভার উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী লালবাঁধে ‘দিদির হেঁসেল’ নামে তিনটি ক্যান্টিন চালু করা হল। সেখানে প্রায় ৩০জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা খাবার তৈরি থেকে শুরু করে পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছেন। মহকুমা প্রশাসন ও পুরসভার উদ্যোগে রাজ্য নগর জীবিকা মিশনের আর্থিক সহায়তায় তৈরি দিদির হেঁসেলের এদিন উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত। উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী প্রমুখ।
পুরসভা কী জানাচ্ছে?
পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পুরসভা প্রাঙ্গনে প্রথমে ’দিদির হেঁসেল’ নামে একটি ক্যান্টিন চালু করা হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তা পরিচালনা করেন। সুলভ মূল্যে সেখানে খাবার পাওয়া যায়। তাতে সাফল্য পাওয়ায় এবার লালবাঁধের পাড়ে আরও তিনটি ‘দিদির হেঁসেল’ চালুর পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো তিনটি পৃথক স্টল তৈরি করা হয়। এদিন তার উদ্বোধন করা হয়।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দিদিরা কী বলছে ?
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা মধুমিতা হালদার জানান, পর্যটনের শহর বিষ্ণুপুর। আর লালবাঁধ তার অঙ্গ। এখানে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন। আশা করি পর্যটকদেরকে সুলভ মূল্যে আমরা তাঁদের পছন্দের খাবার তুলে দিতে পারব। এই ধরনের ক্যান্টিনের জন্য অনেক পর্যটকরা যেমন সুবিধা পাবেন, সেরকমই আশেপাশের কর্মরত শ্রমিক শ্রেণির মানুষরাও অনেকটা উপকৃত হবেন বলে জানান তাঁরা।
মা ক্যান্টিনের ন্যায় দিদির হেঁসেল
কলকাতায় পুরসভার নগর কল্যাণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণ দফতরের উদ্যোগে শুর হয় মা ক্যান্টিন। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল মা ক্যান্টিন পরিষেবা। পথ চলতি এবং শ্রমিক শ্রেণির মানুষের জন্য এই পরিষেবা চালু করে রাজ্য সরকার। মূলত, ৫ টাকায় ডিম ভাত দেওয়া হয় এই ক্যান্টিন গুলি থেকে। চালু হওয়ার পর থেকে চরম জনপ্রিয়তা পায় এই মা ক্যান্টিন। কলকাতায় ১৩০ তির বেশি এই মা ক্যান্টিন রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। সেরকমই সুলভ মূল্যে আহারের জন্য এবার বিষ্ণুপুরে শুরু হল দিদির হেঁসেল।