অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস ধরেই কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গোরু, ষাঁড় ও গোরু চুরির ঘটনা ঘটছে। দুস্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে পিক আপ ভ্যান নিয়ে এসে গোরু ও ষাঁড় গোরু চুরি করে নিয়ে যায়। দিনকয়েক আগে দিনহাটা শহরের চড়কমাঠ এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা দুটি ষাঁড় গোরু চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে ওই ষাঁড় ও গোরু দুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সম্প্রতি দক্ষিণ মরানদী কুঠি এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা গোরু চুরি করছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর গ্রামবাসীরা মিলে পালা করে গ্রামে পাহারা দিতে শুরু করে।
অভিযোগ, এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই এলাকায় বাইকে করে এক যুবক এলে তাকে আটক করেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবককে উদ্ধার করে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা। এমনকি, রাতভর পুলিশকে আটকে করেও রাখা হয়। ঘটনায় জখম হয়েছেন পুণ্ডিবাড়ি থানার এক এএসআই। তাঁকে পুণ্ডিবাড়িতে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জেলা পুলিশের ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় অনেকের গোরু চুরি গিয়েছে। পুলিশকে অভিযোগ জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ গোরুচোর সন্দেহে আটক করার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ গিয়ে হাজির। তার মানে গোরু চোরদের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। এই কারণেই তারা পুলিশের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
যদিও পুলিশের পালটা দাবি, মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় অন্য একটি ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সেই সময়েই স্থানীয়রা গোরুচোর সন্দেহে একজনকে আটক রেখেছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। সেই খবর পেয়ে তারা তাঁকে উদ্ধার করতে যায়। তখন হঠাৎই গ্রামবাসীরা তাদের ওপর চড়াও হন। ঘটনায় তিনজন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। বার বার এভাবে পুলিশ প্রশাসনের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।