কী জানা যাচ্ছে?
স্কুল ছুটি হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। প্রধান শিক্ষিকাকে আটকে রেখে আন্দোলনে শিক্ষকা ও শিক্ষা কর্মিদের। হুগলি জেলার শ্রীরামপুর রমেশ চন্দ্র গার্লস হাই স্কুলের ঘটনা। শনিবার স্কুলের সহ শিক্ষিকা শবরী সান্যাল শনিবার স্কুলে এলেও হাজিরা খাতায় সই করেননি। ওই শিক্ষিকা আজ স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সই করতে গিয়ে দেখেন শনিবার তার নামের জায়গায় লাল কালি দেওয়া আছে।
এরপর কী হল?
কেন এমন করেছেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরা সহ শিক্ষিকাকে লিখিত আবেদন করতে বলেন। এই শর্তে রাজি হননি শিক্ষিকা। আজ স্কুল ছুটির পরে শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে রাখে। তাঁকে স্কুল থেকে বেরোতে বাধা দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা কী বলছেন?
স্কুলের সহ শিক্ষিকাদের দবি, তাঁদের উপর প্রধান শিক্ষিকা মানসিক নির্যাতন করছেন। যে কারণে তাঁরা ঠিক মত পড়াতে পারেন না। ছুটি নিতে গেলে বলেন ছুটি নেওয়া যাবে না। এরকম একাধিক অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। তবে স্কুলের নিয়ম মতো আসা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য কী?
প্রধান শিক্ষিকার পাল্টা অভিযোগ, সহ শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। স্কুলে কোনও নিয়ম শৃঙ্খলা মানতে চান না শিক্ষিকারা। সময় মত আসেন না। যখন তখন ছুটি নেন। কিছু বলা যাবে না। এই ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। গত শনিবার স্কুলে এসেছেন বলছেন শবরী ম্যাডাম কিন্তু সই করেননি। স্কুলে এসে সই না করে চলে গেলেন। আমি ওনাকে দেখিনি তাই অনুপস্থিত করেছি। কে এলো তা সব সনয় নজর রাখা সম্ভব না। শিক্ষিকারা শৃঙ্খলা না মানলে কি করে ছাত্রীদের পড়াবেন। আমি চাই স্কুল একটা নিয়মে চলুক। প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরা বলেন, ওঁরা কোনও শৃঙ্খলা মানতে চান না আর আমি স্কুলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চাই। তাঁকে অনুমতি দেওয়া হোক একটি দরখাস্ত জমা দিতে বলি। তাতেই এত সমস্যা। সহশিক্ষিকার সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা আমাকে ঘেরাও করে রেখেছে ।
শিক্ষিকাদের বক্তব্য
কল্পনা বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনই স্কুলে আসার পরেই কোন না কোন শিক্ষিকাকে অপদস্ত হতে হচ্ছে। আমরা চাই স্কুলে একটা স্থির নিয়ন্ত্রণ হোক এইভাবে অসম্মানিত হতে আমরা পারছি না। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী বলেন,আমরা চাইছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে।যে কারনে পুলিশ ডাকিনি।আর পুলিশ ডেকে এই ধরনের সমস্যা মেটে না। শেষমেষ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতির মধ্যস্থতায় ঘেরাও মুক্ত হন প্রধান শিক্ষিকা।