Kolkata To Cooch Behar Flight : নাইন সিটার বিমানে আশ মিটছে না রাজার শহরের – kolkata to coach behar route aircraft seats are less than demand passengers face to harassment


এই সময়, কোচবিহার: দাবি মিটেছে। তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কলকাতা-কোচবিহার রুটে ছোট বিমান চললেও চাহিদার তুলনায় আসন কম। মাত্র ৯টি সিট হওয়া চটজলদি টিকিট পেতে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সপ্তাহ দু’য়েক আগে বুকিং না করলে এই রুটে যাত্রা প্রায় অনিশ্চিত। বেশি আসনের বিমান চালানোর দাবি করেছে কোচবিহারের শিল্পমহল।

কোচবিহার-কলকাতা রুটে নিয়মিত উড়ান চালু হয়েছে মাত্র সাত মাস আগে। প্রতিদিন বিমানটি ভুবনেশ্বর-জামশেদপুর-কলকাতা হয়ে কোচবিহারে নামে দুপুর ১২টা নাগাদ। ফের আড়াইটে নাগাদ কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় দমদমের উদ্দেশে। মাত্র আড়াই ঘণ্টায় কোচবিহার থেকে কলকাতা যাওয়া সম্ভব হওয়ায় শুরু থেকেই এই বিমানটি ঘিরে আশার আলো দেখেছেন অনেকে।
Cooch Behar News : আত্মহত্যা ঠেকাতে চালু হল অ্যাপ
কারণ, ট্রেনে কোচবিহার থেকে কলকাতা আসন অনুযায়ী ভাড়া লাগে ১১০০ থেকে ২৬০০ টাকা। সময় লাগে প্রায় ১৩-১৫ ঘণ্টা। প্লেনে আড়াই ঘণ্টা। ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হওয়ার সময়ে ৯৯৯ টাকা ভাড়া থাকলেও বেড়ে এখন প্রায় ৩৭০০ টাকা হয়েছে। যে সংস্থাটি বিমান চালানোর বরাত পেয়েছে তাদের কাছে নয় আসনের বিমান আছে চারটি। মাঝে একটি বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত মাসে দু’দিন কোচবিহার-কলকাতা রুটে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল।

বিমান পরিষেবা চাল হওয়ায় কোচবিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় বা এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া, অধ্যাপকদের কলকাতা যাতায়াতে অনেক সুবিধা হয়েছে। কলকাতার চিকিৎসকরাও বিশেষ প্রয়োজনে রাজ্যের এই প্রান্ত জেলায় সহজেই প্লেনে আসতে পারছেন। বেশ কয়েকজন শিল্পপতিও কোচবিহারে শিল্পস্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছেন উড়ান চালুর পরে৷ যাত্রীদের চাহিদা সত্ত্বেও কেন মাত্র নয় আসনের বিমান দিয়ে এই পরিষেবা চলছে, প্রশ্ন উঠেছে।

Joy Ride Cooch Behar : পুজোয় দোতলা বাসে ‘জয় রাইড’, সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার
দিনে একের বেশি বিমান কিংবা বেশি আসনের বড় বিমান চালানোর দাবি করেছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। কোচবিহারের শিল্পপতি রাজেন্দ্র বৈদ বলেন, বেশি আসনের বিমান নিয়মিত চলাচল করলেও প্রতিদিন যাত্রী ভিড় থাকবে। মাত্র নয় আসনের বিমান যথেষ্ট নয়। কোচবিহার-কলকাতা রুটে বিমানের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা আছে৷’ অপর এক শিল্পপতি ভূষণ সিংহ বলেন, ‘কোচবিহার-কলকাতা বিমান চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। ফেব্রুয়ারিতে পরিষেবা চালু হলেও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এ নিয়ে আবেদন করেছেন কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক দিলীপ বণিক বলেন, ‘যাদের নিয়মিত যাতায়াত করবেন তাঁরা টিকিট বুকিং করতে পারছেন না৷ দশ-পনেরো দিন আগে সব টিকিট বুক হয়ে যাচ্ছে। বিমান চালু হলেও সমস্যা মেটেনি। অনেক শিল্পপতিকে এখনও ভরসা করতে হচ্ছে ট্রেনকে।’

Mid Day Meal : মিড-ডে মিলের ৫০ বস্তা চাল ‘চুরি’! গিতালদহের সরকারি স্কুলে মারাত্মক ঘটনা
কোচবিহার বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১১০০ মিটার রানওয়েতে বড় বিমান চালানো সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ মিটারের রানওয়ে। সেই কারণে মরা তোর্সা নদীর উপর দিয়ে বিমান চলাচলের জন্য রানওয়ে তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সমস্যা মেটাতে সব মিলিয়ে ১৭০০ মিটার রানওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের উড়ান প্রকল্পে কলকাতা-কোচবিহার বিমান চালানোর বরাত যে সংস্থা পেয়েছে, তাদের কাছে ৯-এর বেশি আসনের বিমান নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *