পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজের যাবতীয় দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি জয়নগর এক নম্বর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নিজের স্ত্রীয়ের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পরিষেবার আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতম মণ্ডল। এরপরই প্রকাশ্যে আসে তাঁর কারসাজি। ধৃতকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ব্লক অফিসে সেই আবেদনপত্রের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে ত্রুটি। দেখা যায় আবেদনকারীর আধার কার্ডের বয়সের তারিখের সঙ্গে জাতিগত শংসাপত্রে থাকা বয়সের তারিখের কোনও মিল নেই। বয়সের তফাই প্রায় সাত বছর। জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও-র কাছে খবর যেতেই তিনি তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি দেখেন। বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস ওই গৃহবধূর জমা দেওয়া তথ্য খুঁটিয়ে যাচাই করেন। আধার কার্ড দেখতেই ধরা পড়ে যে সেই তথ্য এডিট করা হয়েছে। এডিট করে আবেদনকারীর বয়স পরিবর্তন করা হয়েছে।
আবেদনকারীকে ডেকে পাঠানো হয় বিডিও অফিসের তরফে। তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ওই মহিলা বিডিওর সামনে স্বীকার করে নেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতেই তাঁর স্বামী আধার কার্ডে থাকা বয়সের তথ্য এডিট করেছেন। লিখিতভাবে বিডিওর কাছে একথা স্বীকার করে নেন ওই মহিলা। তারপরই বিডিওর তরফে জয়নগর থানায় অভিযোগ জানানো হয়।
কেন এই ধরনের কাজ করলেন ওই যুবক? এই প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব গরিব। সংসার খরচের টাকাও মাসে রোজগার হয় না। সংসার খরচের টাকা জোগাড় করতে না পেরেই আমি এই কাজ করেছি।’ অন্যদিকে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই ব্যক্তি জেরায় দোষ স্বীকার করেছেন।’