মৃত মহিলার বাড়ি শ্যামনগর নিমতলা ঘাট রোড এলাকায়। সেখানে একটি আবাসনের চারতলায় দিদির সঙ্গে থাকতেন তিনি। তদন্তকারী মহিলার বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কথা বলতে গেলে সুপ্রিয়ার বাড়ির লোকজন তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি বলে অভিযোগ।
কিন্তু প্রতিবেশীরা জানায় এলাকায় ভালো মেয়ে হিসেবে পরিচিত ছিলেন সুপ্রিয়া। তাঁর এই মৃত্যুর খবরে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরাও হতভম্ব। তবে শুরু থেকেই তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের মনে হচ্ছিল এই মৃত্যুর পিছনে কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। ‘মিসিং লিঙ্ক’ খুঁজতে তৎপর হন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার অধীনস্থ শ্যামনগরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া ঘোষ তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। ১৭ সেপ্টেম্বর পরিবারের তরফে জগদ্দল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে জগদ্দল থানার পুলিশ পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এলাকা থেকে মূল দুই অভিযুক্ত দীপশেখর বসু ও সুস্মিতা রায়কে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত সুপ্রিয়ার খুনের সঙ্গে এই দু’জন জড়িত।
ধৃতদের আজ ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। কী কারণে তারা সুপ্রিয়াকে খুন করল তা জানার জন্য ধৃতদের পু্লিশের তরফে হেফাজতে চাওয়া হয়েছে। শুনানির পর বিচারক তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের নামে সুপ্রিয়াকে দিঘায় নিয়ে যায় দীপশেখর। ধৃত দীপশেখর বরানগরের বাসিন্দা। দীপশেখরের সঙ্গে সুপ্রিয়ার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ হয় তাঁর বান্ধবী সুস্মিতার। সেই কারণে হোটেলের ঘরে তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয়। আরও নতুন কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।