BJP Party Office : দফতরেই তৈরি হচ্ছে কলসেন্টার, ঘরহারা ২ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি – call center is being built in the state bjp office at muralidhar sen lane


এই সময়: টিভি চলল। কিন্তু কোনও চ্যানেল এলো না। রিমোটের বোতাম আরও কয়েকবার টেপাটেপি করে দিলীপ ঘোষ হাল ছাড়লেন। জানা গেল, টিভি-র কেবল সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে! ভুরু কোঁচকালেন দিলীপ। কিছুক্ষণ বাদেই টের পাওয়া গেল, শুধু টিভি-ই নয়। তাঁর ঘরে এসির লাইনও কাঁটা! এ বার নড়েচড়ে বসলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। শুরু হলো খোঁজ-খবর। হঠাৎ কী এমন ঘটল মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য বিজেপি দফতরে?

যাতে দিলীপ ঘোষের ঘরের এসি, টিভি সব বিগড়ে গেল? বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই জানা গেল, ঘনিষ্ঠ মহলে একই অভিযোগ দিলীপের পূর্বসূরি রাহুল সিনহারও। বিজেপি সূত্রে খবর, ৬ মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরটিতে নেতাদের জন্য আর কোনও ঘর থাকবে না। সেখানে কল সেন্টার হবে। ছাড় দেওয়া হচ্ছে না দিলীপ-রাহুলের ঘরকেও।

Anupam Hazra : প্রচারে আসতেই কি অনুপমের ‘দিলীপ-স্টাইল’
সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে তৈরি হয়েছে বিজেপির নতুন পার্টি অফিস। দলীয় বৈঠক থেকে সাংবাদিক বৈঠক ইদানীং সেখানেই সারছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু মুরলীধর সেন লেনে দলের পুরোনো পার্টি অফিসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। দলীয়স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই পার্টি অফিসের একটি অংশ কলকাতা উত্তর জেলা কমিটির অফিস হবে। বাকি অংশে চলবে কল সেন্টার। কিন্তু এ সব সিদ্ধান্ত এতদিন খাতায়-কলমেই ছিল। রাজ্য বিজেপির পুরোনো নেতারা অভ্যাসের বদল করেননি।

সেক্টর ফাইভের থেকেও তাঁদের পছন্দ মুরলীধর সেন লেনের পুরোনো দফতরটি-ই। কলকাতায় থাকলে দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা নিয়ম করে ঢু মারেন সেখানে। তাঁদের দু’জনের নিজস্ব ঘরও রয়েছে সেখানে। এক বছর ধরে এরকমই চলছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার পার্টি অফিসে নিজের ঘরে বসে চপ-মুড়ি খেতে খেতে দিলীপ বিলক্ষণ টের পেয়েছেন, এ বার মায়া ত্যাগ করতে হবে।

Bharatiya Janata Party : জেলায় জেলায় কল সেন্টার খুলে মোদীর প্রচার
তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘পার্টি অফিসের দোতলায় দিলীপ ঘোষের ঘরের কেবল লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। এসি মেশিন খুলে নেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে হয়তো চেয়ার-টেবিলও তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। শুনছি, কল সেন্টার হবে দোতলায়।’ এখন প্রশ্ন হলো, মুরলীধর সেন লেনের পুরোনো অফিসে কল সেন্টার হলে দিলীপ-রাহুলদের নতুন ঘর কোথায় হবে? কোথায় বসবেন তাঁরা? বর্তমানে দলের কোনও সাংগঠনিক পদে না থাকার কারণে সল্টলেকের নতুন পার্টি অফিসে তাঁদের জন্য কোনও ঘর বরাদ্দ করা হয়নি।

অর্থাৎ, সল্টলেক অফিসে সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকের পৃথক ঘর থাকলেও দিলীপ-রাহুলের জন্য সেরকম কোনও বন্দোবস্ত নেই। রাজ্য বিজেপির এক পদাধিকারীর কথায়, ‘নেতাদের কাজ জেলায় ছোটাছুটি করা। পার্টি অফিসে বসে থাকার সময় কোথায়? দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা দলের প্রবীণ নেতা। তাঁদের উপর অনেক দায়িত্ব। সামনে লোকসভা ভোট। অনেক ছোটাছুটি করতে হবে সকলকে।

Durga Puja 2023 : বঙ্গের দুর্গাপুজোয় অনুদান ঢালতে চায় পদ্ম-শিবিরও, কটাক্ষ তৃণমূলের
ঠান্ডা ঘরে বসে খোশগল্প করার সময় কারও নেই।’ তবে বিজেপির অন্দরের খবর, এমন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন দিলীপ এবং রাহুল। ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ঘর না থাকলে তিনি চেয়ার-টেবিল নিয়ে বাইরেই বসবেন। তবে কেউই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসে দলের কোনও নেতার জন্যই আলাদা কোনও ঘর থাকবে না। এটাই পার্টির সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *