জানা গিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরে এক্স স্ক্যানারের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হচ্ছে। গরমকালের মধ্যে ডোমেস্টিক টার্মিনালে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। সিকিউরিটি চেকের দীর্ঘ লাইনের সমস্যা থেকে যাত্রীদের রেহাই দিতে এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের যাত্রীদের হ্যান্ড ব্যাগেজ স্ক্যান করার জন্য ১৪টি এক্স-রে মেশিন রয়েছে। সেখানে আরও ১২টি এক্সরে স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্ট সি পট্টভি এ প্রসঙ্গে একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেন, ‘ডোমেস্টিক সেকশনে আমরা আরও ১২টি এক্স রে স্ক্যানার মেশিন বসাব। শীতকালের আগেই ছয়টি বসিয়ে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। গরমকালের মধ্যে বাকিগুলি বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকা CISF জওয়ানের সংখ্যাও আরও বাড়ানো হবে।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিন ডোমেস্টিক সেকশন দিয়ে গড়ে ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। সেখানে আন্তর্জাতিক সেকশন দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রীর সংখ্যা মাত্র পাঁচহাজার। পট্টভি ওই ইংরেজি দৈনিককে আরও বলেন, ‘কোভিডের আগে ডোমেস্টিক সেকশন দিয়ে আরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে। তুলনামূলকভাবে সেই সংখ্যা কমলেও দ্রুত যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে।’
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এর আগে টার্মিনাল দিয়ে ঢোকার সময় থেকে বোর্ডিং গেট অবধি পৌঁছতে যাত্রীদের এক ঘণ্টা সময় লাগত। তবে ইনলাইন ব্যাগেজ স্ক্যানিং ও DigiYatra পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকে আগের তুলনায় সময় কম লাগলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছে, DigiYatra চালুর আগে থেকে প্রবেশেক গেট থেকে যাত্রীদের লম্বা লাইন লেগে যেত। কিন্তু এপ্রিল মাস থেকে চেকইন তুলনামূলকভাবে দ্রুত হচ্ছে। পট্টভি জানিয়েছে, যাত্রীদের মাত্র ৪০ শতাংশ এখন DigiYatra পরিষেবা ব্যবহার করছেন। একটা বড় অংশের যাত্রীদের ব্যবহারের প্রতি অনীহা রয়েছে। অতিরিক্ত এক্স রে স্ক্যানার মেশিন ব্যবহার লম্বা লাইনের হাত থেকে রেহাই পাবেন যাত্রীরা।