বাংলাদেশের বাণিজ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৭৯টি সংস্থাকে ভারতে ইলিশ রফতানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৩০ অক্টোবর অবধি দফায় দফায় বাংলাদেশ থেকে আরও ইলিশ বাংলায় আসবে। সব মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আসার কথা রাজ্যে। ফলে মনে করা হচ্ছে পুজোর আগেই বাঙালির পাতে উঠবে এই সুস্বাদু মাছ।
বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ৪৫ টন ইলিশ এসে পৌঁছনোয় খুশি মাছ বিক্রেতারাও। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিন রাজ্যের প্রায় সব বাজারেই মিলবে পদ্মার ইলিশ। মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশ মাছের অধিকাংশগুলির ওজনই ৮০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজির মধ্যে। তবে মাছগুলির দাম কেমন থাকবে, তা খোলসা করতে চাননি ব্যবসায়ীরা। তবে মনে করা হচ্ছে প্রথম দফায় ইলিশের দাম একটু চড়া হতে পারে। জোগান আরও বাড়লে কমবে দামও।
এদিনে পেট্রাপোলে ক্লিয়ারিং এজেন্টদের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘এখন থেকে প্রতিদিনই কিছু কিছু করে আসতে থাকবে বাংলাদেশের ইলিশ। ই সিস্টেমে অনলাইনে কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজের কারণে সামান্য দেরি হল। তবে অবশেষে ইলিশ যে এসে পৌঁছেছে এটাই আনন্দের। গতবারও ইলিশ মাছ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের সরকার। এবার কিছুটা দেরিতে হলেও, বাঙালি এই মাছ পাবে। পুজোর আগে এর থেকে বড় সুখবর আর কী বা হতে পারে।’
ইলিশ বোঝাই ট্রাক নিয়ে ভারত সীমান্তে আসা বাংলাদেশের লরিচালক নূর মহম্মদ ইসলাম বলেন, ‘দুর্গাপুজোর উপহার হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ পাঠিয়েছে। বরিশাল থেকে এই ইলিশ আমরা নিয়ে এসেছি। বাঙালির পাতে এবার পুজোর আগেই ইলিশ মাছ উঠবে। আগামী দিনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইলিশ মাছ ভারতে আসবে।’