আদালত শুক্রবার জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ECIR-র ভিত্তিতে অভিষেককে সমন পাঠানো গেলেও তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। এই রায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের জন্য স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছে আইনজীবী মহলের একাংশ। আদালতের রায়ের পর কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও তার অপব্যবহার নিয়ে তৃণমূল আরও সুর চড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। নিজেকে অভিষেকের সহযোগী বলে দাবি করেন সুজয়কৃষ্ণ। সেই সূত্রে তৃণমূল সাংসদকে তলব করা হয়। এর সঙ্গে জোড়ে তৃণমূল সাংসদের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলাও। তারপরই ইডির দায়ের করা ইসিআইআর বা এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তার ভিত্তিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘কালীঘাটের কাকু’ ছাড়া অভিষেকের বিরুদ্ধে এখনও কোনও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি ED। সেই কারণে তৃণমূল সাংসদকে রক্ষাকবচ দেওয়ার কথা জানায় আদালত।
একইসঙ্গে অভিষেকের ECIR খারিজের আবেদনকে বিশেষ আমল দিতে চাননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে তদন্ত এখনও অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। সেই কারণে ECIR খারিজের আবেদন নিয়ে আদালত এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না।’
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের সংস্থাল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নিউ আলিপুরের অফিসে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়। এমনকী প্রেস বিবৃতিতে অভিষেককে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও বলে উল্লেখ করে ইডি। সেই মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হচ্ছে। আদালত লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে জড়িত সংস্থার ডিরেক্টর, সিইও ও অন্যান্য পদাধিকারীদের সম্পত্তির নথি তলব করে। বৃহস্পতিবার মুখবন্ধ খামে সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা করে ED। আগামী দিনে এই মামলা নতুন কোনও দিকে মোড় নেয় কি না, সেটাই এখন দেখার।