Biriyani : বিরিয়ানিতে ক্ষতিকর রং, বাসি মাংস! পুজোর আগে অভিযান চালিয়ে হতবাক খাদ্য সুরক্ষা দফতর – balurghat district administration raided in different biriyani shop and fast food centre


বিরিয়ানির নাম শুনলে কার না জিভে জল আসে! ধোঁয়া ওঠানো গরম বিরিয়ানি দেখে যেন তর সয় না। মানুষের চাহিদা ও জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে বিরিয়ানির স্টল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরও তার অন্যথা নয়। বালুরঘাটের যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে হোটেল ও রেস্তরাঁ। সেখানে নিম্নমানের খাবার বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকানে হানা দিয়ে চোখ কপালে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর, খাদ্য সুরক্ষা দফতর ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের।

Biryani Restaurants Near Me : বিরিয়ানির একাধিক নাম দোকানে হানা! খাবারের মান নিয়ে কী বলল প্রশাসন?
অভিযান চালিয়ে আধিকারিকরা দেখেন, কোনও দোকানে ফ্রিজে মজুত করা হয়েছে পচা ভাত, কোথাও আবার বাসি মাছ-মাংস দিয়েই চলছে রান্না। এমনকী কোনও কোনও দোকান বা রেস্তরাঁতে বিরিয়ানিতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রঙও। পচা ও নিম্নমানের খাবারের হদিশ পাওয়ার পর নষ্ট করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। অভিযান চালিয়ে খাদ্য সুরক্ষা ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা দেখেন বালুরঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক দোকানের বৈধ লাইসেন্সও নেই। বেশ কয়েকটি দোকান থেকে গরমিলে ভরা ওজম মেশিনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Data Protection Bill : ১ মাসের মধ্যে ডেটা সুরক্ষা বোর্ড গঠন, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
সামনেই পুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে খাবারের দোকানগুলিতে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কারণে আগাম সতর্কতা হিসেবে তড়িঘড়ি জেলাশাসকের নির্দেশে অভিযানে নামে ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য সুরক্ষা দফতর। পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররাও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। বৃহস্পতিবার অভিযানের প্রথম দিন ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে নিয়ম ভাঙলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিযানকারী দলের সদস্যরা।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের উপ সহ অধিকর্তা মনোজিৎ রাহা বলেন, ‘বালুরঘাটের বেশ কিছু খাবারের দোকানে আমরা অভিযান চালিয়েছি। অধিকাংশ দোকানেরই খাবাররে মান ও পরিচ্ছন্নতা দেখে আমরা সন্তুষ্ট নই। গুণগত মান খারাপের পাশাপাশি বহু দোকানে বাসি খাবার মজুত করে রাখা রয়েছে। অনেক দোকানে দামও বেশি নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিন বলে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলাশাসকের নির্দেশে এই অভিযান চলবে।’ জেলা ফুড সেফটি অফিসার দীপক গুরুং বলেন, ‘খাবারের মান যাচাই করা হয়নি। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না নিয়ে আমরা সতর্ক করছি। এমন চললে আগামী দিনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’

Toto E Rickshaw Battery : টোটোর ‘দাদাগিরি’ থামাতে আরও কঠোর অবস্থান! তিনচাকার যান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত একাধিক পুরসভার
অন্যদিকে বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, ‘খাবারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের আগেই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কেউ যদি নিয়ম ভেঙে বাসি ও পচা খাবার বিক্রি করে, প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবেই। আমরা সেটাকে সমর্থন জানাব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *