কী জানা যাচ্ছে?
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুর ৩-৩০ মিনিটে। দুরন্ত গতিতে আপ কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস ছুটে যাচ্ছিল। মালদা জেলার ভালুকা রোড স্টেশনের পেরোতেই বিপত্তি অপেক্ষা করছিল ট্রেনটির জন্য। সেই সময় ট্রেন লাইনের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল আট বছরের এই কিশোর। সে হঠাৎ লক্ষ্য করে আপ লাইনে বেশ কিছু অংশের মাটি সরে গিয়েছে।
এরপর কী হল?
তড়িঘড়ি নিজের পড়নে লাল গেঞ্জি খুলে ট্রেনের ট্রাকে দাঁড়িয়ে সংকেত দিতে থাকে চালককে। লাল সংকেত দেখে চালক এমারজেন্সি ব্রেক কষে। ট্রেনটিকে কোনওরকমে দাঁড় করায় চালক। আর বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। জীবন রক্ষা পায় ট্রেনের কয়েকশো যাত্রী। এরপর রেলকর্মীরা ছুটে এসে আপ লাইন মেরামতি করে। ট্রেনটি সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যে পৌঁছয়।
কী জানাল সেই কিশোর?
সেই কিশোর জানায়, আমি বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ রেল লাইনের ধারে দেখলাম কিছুটা মাটি সরে হয়েছে। একটা খাল মতো হয়ে গিয়েছে। আমার গায়ে একটা লাল গেঞ্জি ছিল। ওটা খুলে আমি ড্রাইভারের দিকে দেখানোর চেষ্টা করি। এরপর ট্রেনটি থেমে যায়। ড্রাইভার এসে দেখে লাইনে গণ্ডগোল আছে। আমাকে ড্রাইভার কাকু খুব বাহবা দেয়।
ছেলের কৃতিত্বে খুশি পরিবার
ছেলেটির ছোট্ট ছেলের কৃতিত্বে গোটা পরিবার। ছেলেটির মা জানালেন, আমাকে বাড়ি এসে ও পুরো ঘটনাটি জানাল। আমরা খুব খুশি। আমার ছেলে বুদ্ধি করে এতগুলো লোকের প্রাণ বাঁচিয়েছে। কিশোরের কৃতিত্বে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। ছেলেটির তাৎক্ষণিক বুদ্ধিকে সাধুবাদ জানিয়েছে সকলেই। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ওখানে অনেক জন জড়ো হয়েছিল। সবাই লক্ষ্য করে ওখানে রেলের লাইনের নিচে একটা গর্ত হয়ে আছে। অনেকে চিৎকার করে ট্রেন থামানোর জন্য বলে। তবে ছেলেটা বুদ্ধি করে নিজের গেঞ্জিটা খুলে ওড়াতে থাকে। সেটা লক্ষ্য করে ড্রাইভার। দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এতগুলো লোকের প্রাণ বাঁচাল ছেলেটা। আমরা এতে খুবই খুশি। ছেলেটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরাও।