Police Constable Arrested : প্রিয়তমাকে দেন ১২ লাখি গাড়ি, কোটিপতি কনস্টেবলের বান্ধবী ‘বুলা’কে খুঁজছে পুলিশ – west bengal police searching for a girlfriend of arrested constable monojit bagish


West Bengal Police : বান্ধবীকে উপহার দিয়েছিলেন ১২ লাখি গাড়ি। এমনকি বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকার লেনদেনও হয়েছিল। ধৃত পুলিশ কনস্টেবলকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সরকারি আইনজীবী। রামপুরহাট থেকে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের সেই বান্ধবী ‘বুলা’ র খোঁজ করছে পুলিশ।

West Bengal Constable Arrested: ‘বাগনান থানার মুকুটহীন সম্রাট’! কোটিপতি কনস্টেবলের উত্থানের কাহিনি চমকে দেবে
কনস্টেবলের পুলিশ হেফাজত

আয় বহির্ভূত সম্পত্তির কারণে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তাকে গ্রেফতার করেছিল। আজকে তাকে বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ তাকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য বার করে আনতে চাইছে। এর মধ্যেই তাকে জেরা তথ্য উঠে এসেছে তা চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো।

Baruipur News: ‘চাকরি পাওয়ার পরেই অস্বাভাবিকভাবে সব বদলে গেল…’, কোটিপতি কনস্টেবলকে নিয়ে মুখ খুললেন স্থানীয়রা
কী জানা যাচ্ছে?

আদালতে দিন সরকারি আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু জানান, ধৃত মনোজিৎ বুলা কর্মকার নামে একটি বান্ধবী ছিল। সেই বান্ধবীর সঙ্গে তার প্রচুর আর্থিক লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে মনোজিৎ বুলাকে ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গাড়ি উপহার দিয়েছিল। এছাড়াও তার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ২১ লাখ টাকার মতো লেনদেন হয়েছিল। সেই বুলাকে এখনও খুঁজে পাইনি পুলিশ। খোঁজ চলছে। তদন্তকারীরা বুলা এবং মনোজিৎকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে চাইছেন।

West Bengal Police: ১০ লাখি জীবন বিমা, বান্ধবীকে দামি উপহার! বীরভূমে গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল
গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা ছিলেন মনোজিৎ বাগীশ। পরে তাকে রামপুরহাটে স্থানাতরিত করা হয়েছিল। জানা যায়, ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ, হাওড়া সিটি পুলিশ এবং রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন মনোজিৎ। সরকারি হিসেব অনুযায়ী একজন কর্মরত পুলিশ কনস্টেবলের বেতন অনুযায়ী যা সম্পত্তি হওয়ার কথা তার থেকে কয়েকগুণ সম্পত্তি বাড়িয়ে নিয়েছিল।

পুরসভায় নিয়োগ! ভুয়ো বিজ্ঞাপন! শুরু ফর্ম ফিলআপ!

মনোজিৎ-এর বিরুদ্ধে তদন্ত

মনোজিৎ-এর হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজ পায় রাজ্য ভিজিলেন্স। এরপর শুরু হয় তার বিরুদ্ধে তদন্ত। রাজ্য পুলিশ ডিরেক্টরেটে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পায়। কিন্তু তার কাছে এত পরিমাণ টাকা এল, সেই ব্যাপারেই সন্দিহান তদন্তকারী আধিকারিকরা। মনোজিৎকে জিজ্ঞাসাবদ করে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। কী ভাবে, কোন পথে সে এত টাকা অর্থ জোগাড় করেছিল, সেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। পুলিশের কোনও উচ্চ পদস্থ কর্তা বা প্রভাবশালী ব্যাক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *