কী জানা যাচ্ছে?
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দার্জিলিং থেকে ঘুম স্টেশন পর্যন্ত আটটি জয়রাইড চলে। ডিএইচআরের সূত্রে খবর, এবার পুজোর সময় পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে আরও চারটি জয়রাইড চালানো হবে। সেই ট্রেন গুলির সময়সূচি প্রকাশ করা হবে শীঘ্রই।
পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি
যতদিন যাচ্ছে, পাহাড়ে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাল্লা দিয়ে টয় ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যাও। গত আর্থিক বছরে টয় ট্রেনে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার যাত্রী পেয়েছিল। টয় ট্রেন থেকে রেলের আয় হয়েছিল মোট ১৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। এবার সেই সংখ্যাটাও ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ কমার পর থেকেই উত্তরবঙ্গমুখী পর্যটকদের অসংখ্য কয়েক গুণ হারে বেড়েছে। এবারেও পুজোয় টয় ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা অনেকটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
টয়ট্রেন
দার্জিলিংয়ের অন্যতম সিগনেচার আইটেম হল টয় ট্রেন। পর্যটকদের চাহিদার জন্য বছরের প্রতিটা সময় টয় ট্রেন চালানো হয়ে থাকে। তবে পুজোর সময়টা যাত্রীদের চাপ দ্বিগুণ হয়ে যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে টয় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতে চলেছে। বর্তমানে স্ট্রিম ইঞ্জিন পরিচালিত টয় ট্রেনের ভাড়া ১৫০০ টাকা এবং ডিজেল চালিত ট্রেনের ভাড়া এক হাজার টাকা। তবে পুজোর আগে ট্রেনের ভাড়ার কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে।
টয় ট্রেন নিয়ে চিন্তাভাবনা
স্টিম ইঞ্জিনের সাহায্যে টয় ট্রেনের দৃশ্য সকলেরই চেনা। তবে এবার ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে চালানোর প্রস্তাবকে বাস্তবায়িত করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনজেপিতে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম এস কে চৌধুরী জানান, বিষয়টি নিয়ে একটি সমীক্ষা হচ্ছে। আগামী দিনে যাতে টয় ট্রেন পরিষেবার উন্নতি ঘটানো হয় সে ব্যাপারে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়ার কারণেই পরিষেবা আরও উন্নত করার কথা ভাবছে রেল।