সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুর মানগোবিন্দ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই ভিডিও র সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। স্কুলে সাধারণত ছাত্রীছাত্রীরা আসতে দেরি করলে বা অনুপস্থিত থাকলে অথবা পড়ুয়ারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে তাদের শাসন করেন শিক্ষকরা। তবে বর্ধমানের ঘটনা সম্পূর্ণ উলটো। শিক্ষককের অভিভাবককে নালিশ। শিক্ষকদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি চলছে যাঁর সাক্ষী স্কুলের পড়ুয়ারাও। অনেকে আবার সেই ঘটনার ভিডিয়ো করেন যা পরে সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে যায়।
স্কুলের অভ্যন্তরে এমন লজ্জাজনক ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তনীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। বুধবার তাঁরা এক জোট বেঁধে স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে ঘটনার নিন্দা করে স্মারকলিপিও জমা দেন বলে জানা গিয়েছে।
স্কুলের প্রাক্তনীদের দাবি, ৮০ বছর আগে স্থাপিত হয় এই স্কুল। স্কুলের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকের মারামারির ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার স্কুলের গরিমা নষ্ট হচ্ছে। এমন ঘটনা বন্ধ করা সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে।
স্কুলের অটোমোবাইল বিষয়ের সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, ‘আমারই বাড়িতে ফোন করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক জোয়ারদার আমার সম্পর্কে বেশ কিছু আপত্তিকর কথা বলেন। পরে তা আমি পরিবারের কাছে জানতে পারি। স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে ঢুকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অশালীন কথা বলেন। এমনকী আমাকে ধাক্কা দিয়ে জঙ্গলে ফেলে দেন। স্কুলের নানা অসঙ্গতি নিয়ে প্রতিবাদ করতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষক।’
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক জোয়ারদার বলেন, ‘সহকারী ওই শিক্ষকের বাড়িতে ফোন করা হয়েছিল একথা ঠিক। ওইদিন পুলিশ ও স্থানীয়রাও স্কুলে এসেছিল একথাও ঠিক। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির না হয় তা দেখা হবে। এই স্কুলের প্রাক্তনীরা চিঠি দিয়েছে। স্কুলের পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হবে। স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে কোনোও পরিচালন কমিটি নেই। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’