কী জানা যাচ্ছে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেটির নাম পান্না চারা, তাঁর বাড়ি মায়ানমারে। ছাত্রটি বিশ্বভারতীর সংস্কৃত ডিপার্টমেন্ট এর পিএইচডি স্কলার ফাইনাল ইয়ারের এর স্টুডেন্ট ছিল বলে খবর। তবে শান্তিনিকেতনের ইন্দিরা পল্লী এলাকায় ওই ছাত্র একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। তাঁর সঙ্গে তাঁর একটি বন্ধুও থাকত।
কীভাবে ঘটল ঘটনা?
গতকাল দুপুর দুটো নাগাদ, ৭ থেকে ৮ জন দুষ্কৃতী আসে গাড়ি নিয়ে। প্রথমে ইন্দিরা পল্লী পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে তারা এই ছাত্রটির ছবি দেখিয়ে খোঁজ করে। পরে ছাত্রটি যে ভাড়া বাড়িতে থাকত সেই ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর তাঁরা জোর করে ছাত্রটিকে তুলে নিয়ে যায়। এমনকি তার সঙ্গে যে বন্ধু থাকতো তারও মোবাইল ফোনটি ও নিয়ে চলে যায়।
বিশ্বভারতী কী জানাচ্ছে?
অপহরণের এই ঘটনার পরই সন্ধ্যেবেলায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় ছাত্রের সহপাঠী বন্ধু। অভিযোগ জানানোর পরেই বিশ্বভারতী বিসেবিদ্যকয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বোলপুর থানায় ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেইল মারফত। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার অভিযোগ ও দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এই সময় ডিজিটাল। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই দাবি করেছেন।
কেন অপহরণ?
তবে কে বা কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ছাত্রটিকে অপহরণ করল, সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার পেছনে অপহরণের তথ্যই রয়েছে না অন্য কোনও বিষয়ে রয়েছে সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে বিশ্বভারতীর অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থাকেন, এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে সকলের মধ্যেই বেড়েছে চিন্তার ভাঁজ। দিনে দুপুরে এভাবে একটি ভিন প্রদেশের ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে শান্তিনিকেতন। এরমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিখোঁজ ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।