আদালতের আরও নির্দেশ, মণীশকে তলব করা হলে সঙ্গে সঙ্গে হাজির হতে হবে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে৷ আপাতত আদালতে হলফনামায় যে ঠিকানা দেওয়া আছে, সেখানেই থাকতে হবে তাঁকে৷ এদিন মণীশ জামিন পেলেও দিল্লি হাইকোর্টে ফের খারিজ হয়েছে সুকন্যার জামিনের আর্জি৷ ফলে কেষ্টর মতো তাঁকেও দুর্গাপুজো জেলেই কাটাতে হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা৷ এর আগে এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র জামিন পেয়েছেন।
তবে নিজের বা মেয়ের জামিনের আর্জি বারবার খারিজ হওয়ায় যে কেষ্ট মনমরা ছিলেন, এদিন মণীশের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তিনি খানিকটা খুশিই। এদিন তিহার সংশোধনাগার থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে তাঁর কথা হয় আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষালের সঙ্গে। তখন সম্পৃক্তা মণীশের জামিনের খবর দেওয়ায় অনুব্রত সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই মামলায় অভিযুক্ত মণীশের জামিনের ক্ষেত্রে আদালত কী বলেছে, তা খতিয়ে দেখে ফের কেষ্ট-সুকন্যার জামিনের আবেদন করা হতে পারে।
এর আগে আদালতে ইডি দাবি করেছিল, গোরু পাচারের বিপুল অঙ্কের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন কেষ্ট ও তাঁর সহযোগীরা, সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন মণীশই৷ তাদের এও দাবি ছিল, এভাবে মণীশের নিজের সম্পত্তিও বেড়েছে বহুগুণ৷ এদিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে বিচারপতি শর্মার যুক্তি, জামিনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির সাংবিধানিক মর্যাদা সুরক্ষিত হয়৷
জামিন আটকে রেখে মিনি-ট্রায়াল পরিচালনা করা যায় না৷ আদালতের আরও যুক্তি, মণীশ কোঠারি একজন পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট হিসেবে নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে ছিলেন কি না অথবা কেষ্ট তাঁর অপরাধের ভার হিসাবরক্ষকের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন কি না, তার বিচার হবে ট্রায়াল চলাকালীন৷ এই প্রসঙ্গেই বিচারপতির মন্তব্য, ‘সাধারণত পেশাদাররা তাঁদের মক্কেলের ইচ্ছেতেই কাজ করে থাকেন৷’