লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, বাঁকুড়া বিজেপিতে কোন্দল ততই বাড়ছে। বাঁকুড়া বিজেপিতে সম্প্রতি বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। তা না পসন্দ জেলা বিজেপি কর্মীদের। তাঁদের দাবি, সাংগঠনিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করছেন। নিজের কাছের লোকদের পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। পুরনো বিজেপি কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নীচু তলার কর্মীদের না জানিয়েও মণ্ডল সভাপতি পদে রদবদলের অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মীরা।
ঠিক কী কারণে বিক্ষোভ?
স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের দাবি, জেলা নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বিপদে তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তাঁরা তৃণমূলের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। মার খেতে হয়েছে। কিন্তু বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সভাপতি বা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কেউই তাঁদের সঙ্গে একবার দেখা করতে আসেননি।
এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা বিজেপি কিষাণ মোর্চার সভ সভাপতি রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছি, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেই সময় থেকে আজ অবধি বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্ব বা মন্ত্রী আমাদের কোনও খোঁজ খবর নেননি। সেই কারণেই টায়া জ্বালিয়ে আমাদের এই বিক্ষোভ। নেতৃত্বকে বলছি আপনারা নিয়ম মেনে কাজ করুন।’
বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্য
রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এ প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘বাঁকুড়ার শালতোড়াতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছি। আমার মনে হয় দলীয় নেতৃত্ব বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। যে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ রয়েছে, তা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই মনে করি।’
BJP-কে কটাক্ষ তৃণমূলের
আর এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শালতোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্তোষ মণ্ডল বলেন, ‘বাঁকুড়ার সাংসদকে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভের শেষ নেই। যে সাংসদ দলীয় কর্মীদের পাশে থাকতে পারেন না, তিনি সাধারণ মানুষের পাশে কী করে থাকবেন! এলাকার কোথাও সাংসদ উন্নয়ন করেননি। এমপি ল্যাডের টাকা খরচ করা হয়নি।’