Dengue In Kolkata : ডেঙ্গি ঠেকাতে আবর্জনা মুক্ত হবে পুকুর, খরচ তুলতে চাপবে ট্যাক্স – kolkata municipal corporation has decided to clean all the ponds and water bodies to prevent dengue


তাপস প্রামাণিক
কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গি। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর বিনাশ করতে শহরের সব পুকুর ও জলাশয়ের আবর্জনা পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। তার জন্য বরো এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট-বড় মিলিয়ে কলকাতা শহরে প্রায় ৩৫০০ পুকুর রয়েছে। তার একটা বড় অংশই অব্যবহৃত। পুকুরের জলে ও পাড়ে আবর্জনা পড়ে থাকে। সেখানে দেদার জন্মাচ্ছে ডেঙ্গির মশা। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগও আসছে পুরসভার কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুরসভা সে ভাবে গুরুত্ব না দিলেও নড়েচড়ে বসেছেন পুরকর্তারা। সেই মতো পুকুর সাফাই অভিযানে নামছে পুরসভা।

Kolkata Municipal Corporation : রাস্তা সারানো নিয়ে টানাপোড়েন পুরসভায়, ফাঁপরে অফিসাররা
পুরসভার মেয়র পারিষদ (প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিট) স্বপন সমাদ্দার জানাচ্ছেন, শহরে যে সব পুকুর ও বড় জলাশয় রয়েছে তার বেশিরভাগই বেসরকারি মালিকানাধীন। ফলে পুরসভার টাকা খরচ করে পুকুরের আবর্জনা সরানো সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। সেই জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতায় যে সব বেসরকারি মালিকানাধীন পুকুর রয়েছে, সেখান থেকে আবর্জনা সরাতে যে টাকা খরচ হবে, তা মালিকের কাছ থেকেই আদায় করবে পুরসভা। সম্পত্তিকরের বিলের সঙ্গে যোগ করা হবে পুকুর পরিষ্কারের খরচ। বেশ কিছু পুকুরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সেই সব পুকুরের আবর্জনা পরিষ্কারের খরচ পুরসভাই দেবে।

KMC Property Tax : কলকাতায় বাড়তে পারে সম্পত্তিকর, বড় সিদ্ধান্তের পথে পুরসভা
এই সিদ্ধান্তে অবশ্য চিন্তায় পুরসভার অর্থ বিভাগের কর্তারা। পুকুর সাফাইয়ের জন্য পুর ইঞ্জিনিয়াররা প্রাথমিক ভাবে যে খরচের হিসেব দিচ্ছেন, তাতে একটা পুকুর সাফাইয়ে গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হবে। মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে আসবে, তা বুঝতে পারছেন না অর্থ বিভাগের আধিকারিকরা। কারণ, পুর বাজেটে এই খাতে আলাদা করে কোনও টাকা ধরা নেই। ফলে এই টাকা খরচ করলে জরুরি পরিষেবায় টান পড়বে।

Uttar Dinajpur News : মন্ত্রী জায়ার বিরুদ্ধে পুকুর দুর্নীতির অভিযোগ! গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তদন্তকারী অফিসাররা
পুরসভার এক বরো এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘যাদের দিয়ে আমরা পুকুর সাফাই করবো তারা যদি সময়ে টাকা না পায় তখন আমাদেরই ধরবে। এই রকমের কাজের জন্য পুরসভার আলাদা একটা বিভাগ (পিএমইউ) রয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে কেন বরো এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেটাও আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।’ স্বপন সমাদ্দার অবশ্য বলছেন, ‘টাকা কোথা থেকে আসবে, সেটা আমরা দেখে নেব। ইঞ্জিনিয়ারদের এ সব নিয়ে ভাবতে হবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *