কী বললেন দিলীপ?
দিল্লি থেকে শহরে ফিরে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে জানান, চুক্তি হয় আর বড় বড় বৈঠক হয়। কাজের কাজ কি হয়। আমি জানি না, অনেকের ছবি দেখলাম। দিলীপের প্রশ্ন, ‘ওঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁরা কীসের বিশেষজ্ঞ? কী তাঁদের বিশেষত্ব, কেন সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে বেড়াতে নিয়ে গেল ওদেরকে।’
আর কী বললেন তিনি?
দিলীপ এদিন জানান, স্পেন থেকে না কি ফুটবল আসবে! ওঁর সঙ্গে যারা গিয়েছিল তার মধ্যে কে বড় ফুটবলার ছিল? যদি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যেতেন তাহলে বুঝতাম। একজন বিশ্ব বিখ্যাত ফুটবলার ছিল ওঁর সঙ্গে যিনি বাংলার জন্য করেছেন। যে কোনওদিন ফুটবল খেলেনি সেই সমস্ত মহামানবরা গিয়েছিলেন ওঁর সঙ্গে। তাদের দ্বারা কী লাভ হয়েছে? প্রশ্ন তাঁর। তাঁর মন্তব্য, ‘এবারও কী নিয়ে এসেছেন সেটা সময় বলবে।’
ঘর ভাঙা প্রসঙ্গ
বিজেপি রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন স্ট্রিটে ঘরভাঙ্গা প্রসঙ্গে বলেন, আমার ঘর কেউ ভাঙেনি। আমি যেখানে থাকি ঠিক আছে। পাশাপাশি, ব্রাত্য বসুর রাজ্যপাল সম্বন্ধে করা মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী জীবনে কোনওদিন কাউকে সম্মান করেছেন? প্রধানমন্ত্রীর, রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে কাকে কী বলেন? সেই জন্য মান-সম্মানের কথা বলবেন না। কাজের কথা বলুন। আপনারা কাজ করতে জানেন না, আপনারা ধমকে চমকে কাজ করাতে চাইছেন। রাজ্যপাল মাটির মানুষ নন।
ব্রাত্য বসুর মন্তব্য
রাজ্যপালকে ব্রাত্য বসুর সাদা হাতি মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘ ওঁর গায়ের রং তো সাদা নয়। কেন সাদা হাতি বলেছে আমি জানি না। রাজ্যপালকে ওঁরা ভেবেছিলেন রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করবেন। যে রকম বাকিদেরকে করে নেন। সেটা হবে না উনি যথেষ্ট কর্মদক্ষ মানুষ। বহু জায়গায় কাজ করেছেন। এরকম মন্ত্রীদের পকেটে নিয়ে উনি ঘুরেছেন। ওঁকে হালকা ফলকা যেন না মনে করে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি
যাদবপুরে সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গে দিলীপের মত, ভালো কথা! এটা আগে হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা হত না। আমরা চাইবো, আধুনিক ব্যবস্থা নিয়ে যাদবপুরের যে গরিমার রয়েছে সেটা রক্ষা করা হোক। পড়াশুনার পরিবেশ তৈরি করা হোক। বাবা মা অনেক আশা নিয়ে খরচা করে ছেলেমেয়েদের ওখানে পাঠায়। আদমপুরের গরিমা এবং পড়াশোনার পরিবেশ দুটোই যেন সুরক্ষিত থাকে।