যাঁরা রাজনীতির খোঁজখবর রাখেন, তাঁরা বাম আমলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে তড়িতের প্রভাব সম্পর্কে অবহিত। স্থানীয়দের দাবি, সিপিএমের শাসনকালে ব্যারাকপুরে তড়িতের কথায় ‘বাঘে গোরুতে একঘাটে জল খেত’। ২০১১ সালে সিপিএম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাঁর প্রতাপ এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দলীয় কর্মসূচিতে আগের মতো সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় না প্রাক্তন সাংসদকে। তাঁর বাড়িতে ব্যারাকপুরেরই তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও এই নিয়ে খানিক কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়।
সিপিএম নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক যেতে অনেকেই নানা রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করছেন। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে রাজ চক্রবর্তী বলেন এটা সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার। এর সাথে কোন রাজনীতির যোগ নেই। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ বলেন, ‘আমি গল্প করতে এসেছিলাম। এটাই সত্যি। আমরা এলেই কী রাজনীতি থাকতে হবে সব কিছুর মধ্যে। এখনই সব বলা যাবে না। ব্যারাকপুর সম্পর্কে গল্প শুনতে এসেছিলাম। দু’ঘণ্টা ছিলাম। অনেক গল্প বললেন। খুব একটা রাজনীতির কথা হয়নি।’
প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের ছেলে নীলাদ্রি তোপদার বলেন, ‘উনি একটা তথ্যচিত্র তৈরির করবেন বাবার উপর। সেই ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলেন। কী কথা হল সবটা আমি বলতে পারব না। কারণ আমি বাড়িতে ছিলাম না। রাজনীতির বিষয়, ব্যারাকপুর নিয়ে কথা বলেছেন। বাবা ব্যারাকপুরের বিষয়টা তুলে ধরেছেন সম্ভবত বাবাকে দেখানো হবে না।’
বাম আমলে তড়িৎ তোপদার অত্যন্ত দাপুটে নেতা ছিলেন। ২০১৯-এ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দিয়ে ব্যারাকপুর লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার পর সিপিএম নেতার বাড়িতে যান অর্জুন সিংও। সেই নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দলবদল বা অন্য কোনও পথে হাঁটেননি সিপিএম নেতা। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার। সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।