এবার সেই সংলাপই শোনা গেলে থানার ভিতরে, তাও আবার চুরির ঘটনায় ধৃত এক অভিযুক্তের মুখে। আর ধৃতের মুখে এহেন ডায়লগ শুনে যারপরনাই অবাক থানার পুলিশকর্মীরা। এমনকী ধৃতের কাণ্ডকারখানা দেখে হাসিও চেপে রাখতে পারেননি তাঁরা। অভিযুক্তের এই কীর্তির কথা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাতেও।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ আফজল। কিছুদিন আগে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছিল। অভিযোগ ছিল, কয়েকজন মিলে এক জায়গায় ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে আফজলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও কয়েকদিন পর সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেয়ে যায় সে। এরপর ফের মাটিগাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে চুরি করে। তদন্তে নেমে সেই ঘটনাতেও পুলিশ আফজলকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া লক্ষাধিক টাকার সোনার অলঙ্কার।
জানা গিয়েছে, থানার ভিতরে হঠাৎই আফজল বলতে থাকে, ‘চোর বলবে না, ছিনতাই করি। পুষ্পা হে, ঝুকেগা নেহি।’ আচমকা তার মুখে এই কথা শুনে তো আকাশ থেকে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। রীতিমতো অবাক হয়ে একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকেন তাঁরা। তবে আফজল অবশ্য নির্বিকার। সে নিজেকে চোর বলে মানতে নারাজ।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশ ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও বিচিত্র আচরণ করতে থাকে সে, যা দেখে হাসি আটকায়নি রাশভারী পুলিশ আধিকারিকদেরও। যদিও তাতেও ‘কুছ পরোয়া নেহি’ আফজলের। ঘটনার কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যার ফলে আফজলকে নিয়ে উৎসাহ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের কারও কারও মধ্যেও।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এরই মধ্যে ঘটে গিয়েছে ছাত্রী খুনের মতো ঘটনা। আবার নেশার আসরের প্রতিবাদ করায় খোদ মেয়রের ওয়ার্ডেই বাসিন্দাদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় চুরি ছিনতাইয়ের অভিযোগ তো লেগেই রয়েছে।